এক ইন্সটাগ্রামারের চোখে জার্মানির জলবায়ু নীতির ভালো-মন্দ
জার্মানির টোমাস কাকারেকো ইন্সটাগ্রামার৷ ছবিতে জার্মানির জলবায়ু নীতির নানা দিক তুলে ধরেছেন তিনি৷ কয়লাখনির কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া গ্রাম, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে জার্মানির ভূমিকা – সবই হয়ে উঠেছে তাঁর ছবির বিষয়বস্তু৷
কয়লা নির্ভরতা
ছবিতে জার্মানির সবচেয়ে বড় সারফেস কয়লা খনি দেখতে পাচ্ছেন৷ এটি হামবাখ খনি নামে পরিচিত৷ জার্মানির মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে৷ তবে এই অবস্থা থেকে সরে আসতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে দেশটি৷ এরপরেও অবশ্য কয়লা শিল্পের ভবিষ্যৎ আছে বলে মনে করছেন ইন্সটাগ্রামার @thomas_k৷ এ ছবির মাধ্যমে তিনি তা-ই বোঝাতে চেয়েছেন৷
খনির প্রসার বাড়ছে
কোলন শহরের পশ্চিমে অবস্থিত হামবাখ কয়লা খনির আয়তন প্রায় চার হাজার তিনশ’ হেক্টর৷ এখনও এর পরিধি বেড়ে চলেছে৷
গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে
হামবাখ খনির পাশে অবস্থিত এই গ্রামটির নাম মানহাইম৷ এক হাজার বছরের পুরনো এই গ্রামও একটা সময় খনির আওতাভুক্ত হয়ে যাবে৷ তাই ইতিমধ্যে গ্রামের অনেক বাসিন্দা অন্য জায়গায় চলে গেছেন৷ ১৯৮৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় চারটি গ্রাম খনির মধ্যে ঢুকে গেছে৷
কোনো বিকল্প নেই
কুর্ট ব়্যুটগার নামের এক ব্যক্তি এখনও মানহাইম গ্রামে থাকেন৷ ছোটবেলা থেকেই তিনি নাকি তাঁর গ্রামের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা শুনছেন৷ ‘‘বিষয়টা দুঃখের, তবে কয়লাখনির আর কোনো বিকল্পও নেই’’, মনে করেন কুর্ট৷
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার
কয়লার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারও রয়েছে জার্মানিতে৷ ভাবা হচ্ছে নানা ধরনের বিকল্প জ্বালানি নিয়েও৷ এ ছবিটি তোলা হয়েছে বার্লিনের কাছের একটি এলাকা থেকে৷ ১০৯ মিটার উঁচু এ সব ‘উইন্ড টারবাইন’-ই নাকি ভবিষ্যতে জার্মানির জ্বালানি চাহিদা মেটাবে৷
সবচেয়ে বড় উৎস
হ্যাঁ, জার্মানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ৷ গত এক দশকে প্রায় ২৭ হাজার ‘উইন্ড টারবাইন’ বসানো হয়েছে৷ প্রাণী অধিকার কর্মীরা অবশ্য মনে করেন, এ সব টারবাইন পাখিদের জন্য মহা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
ভবিষ্যতের বাড়ি
জার্মানির গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এমন বাড়ির নকশার কথা বলছে, যেগুলো নিজেরাই বাড়তি জ্বালানি উৎপাদন করতে পারবে৷ অর্থাৎ এ সব বাড়ি নিজেই এত জ্বালানি উৎপাদনে সক্ষম হবে যে, চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তা বিক্রিও করা যাবে৷ এক্ষেত্রে নেয়া হবে সৌরশক্তির সহায়তাও৷