1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক পাউন্ডেই বাড়ি!

৩ আগস্ট ২০১৯

স্নাতকের শিক্ষার্থী ভিক্টোরিয়া ব্রেনান এক কাপ কফির চেয়েও কম দামে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে একটি বাড়ি কেনার ঝুঁকি নিয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/3NHJX
Harrison Anwesen Friar Park
ছবি: picture-alliance/dpa/Oeckenden

আপাত দৃষ্টিতে এটিকে পাগলামি বলে মনে হলেও ওই টাকাতেই তিনি দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে গেছেন৷
যেসব অঞ্চল ছেড়ে মানুষ অন্য জায়গায় ঠিকানা গড়ছে সেসব এলাকায় ফের জনবসতি গড়ে তুলতে লিভারপুল সিটি কাউন্সিল ‘ওয়ান পাউন্ড হোম স্কিম’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে৷ ওই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেই ফ্ল্যাটের মালিক বনে যাওয়া ব্রেনান বলছেন, এই পদক্ষেপ ছাড়া তিনি কখনোই ওই বাড়ির সিড়িতে পা রাখতে পারতেন না৷
 ‘‘এটিকে পাগলামি বলেই মনে হচ্ছিল... কিন্তু এটি ভালো এবং সত্যি বলেই মনে হচ্ছে’’, বলছেন ৩১ বছর বয়সী ব্রেনান, যিনি ২০১৬ সালে দুই কক্ষের ফ্ল্যাটের চাবি পেয়েছিলেন৷থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে ব্রেনান বলেছেন, ‘‘এটি কঠোর পরিশ্রমের কাজ, কিন্তু আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে তা করেন তবে এটি বসবাসের জন্য একটি আশ্চর্যজনক জায়গা হয়ে উঠবে৷’’ বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বলেন, লিভারপুলের ওই এলাকায় নানান অপরাধ, অসামাজিক কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক বঞ্চনা, অল্প মানুষের বসবাসসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়৷তিনি জানান, তার বাড়ির বাইরে চুরি ও আতশবাজি ছাড়াও তার গাড়ির উইন্ডশিল্ডটি পরিত্যক্ত রাস্তায় ভেঙে পড়ে ছিল৷
এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি কিনে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলেও উদ্ভাবনী এই ধারণা ছড়িয়ে পড়ছে৷

লিভারপুলের এই প্রকল্প দেখে উত্তর ফ্রান্সের রাউবাইক্স শহরেও ‘ওয়ান ইউরো হাউজিং স্কিম’ চালু হয়েছে, যেখানে অনেক আগে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল৷ ইতালির দক্ষিণ শহরের জনগণের অন্য অঞ্চলে চলে যাওয়া ঠেকাতে সেখানেও এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে৷ এই স্কিমের আওতায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পরিত্যক্ত খালি বাড়িগুলোকে বসবাসের উপেযোগী করে তুলতে পুনর্নিমাণের খরচ বহন করা হয়৷

হেনরি প্রায়র নামে একজন সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ বলছেন, "লিভারপুল বা ইতালিতে কাউন্সিল এক পাউন্ড বা ইউরোতে বাড়ি বিক্রি করছে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে৷ ‘‘শহর থেকে কোনো অঞ্চলে লোকজনকে ফিরিয়ে এনে ওই এলাকাটিকে প্রাণবন্ত করে তোলার এটি একটি দূর্দান্ত উপায়৷’’
লিভারপুল স্কিমের আওতায় এখন পর্যন্ত ৭৫টি বাড়ি দখল করা হয়েছে, ৩৩টিতে কাজ চলছে এবং আরো ১৩টি নিয়ে আলোচনা চলছে৷ এই স্কিমে অংশ নিতে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ আবেদন করলেও সবাইকে আবাসনের আওতায়  নেয়া সম্ভব নয় বলে লিভারপুল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
এসআই/কেএম