‘এখনও মন্ত্রী আছি’
১২ নভেম্বর ২০১৩মন্ত্রীদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রীরা হাসিখুশিভাবে পদত্যাগ করলেন৷ তার ব্যাখ্যা সংবিধানে লেখা আছে, ‘৫৮(১) প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন৷''
আলোচিত এই সাংবাদিক লিখেছেন, ‘‘...সংবিধানে যা লেখা আছে, সে অনুযায়ী এটা সত্য, সহজ এবং সরল বিষয়৷ এটা বোঝার জন্যে বাংলা অক্ষর বানান করে পড়তে পারলেও চলে৷ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না৷ ‘এখনও মন্ত্রী আছি', ‘মন্ত্রী থাকব', ‘মন্ত্রী থাকবেন' – এসব কেন বলছেন? এত সহজ বিষয়ের এত জটিল ব্যাখ্যা কেন?''
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, ‘‘তাঁদের এই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়ার জন্য দেয়া হয়নি৷ একটি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷ তাই তাঁরা যেটা জমা দিয়েছেন, তা সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র নয়, আনুষ্ঠানিকতা মাত্র৷ তাই তাঁরা স্বপদেই বহাল আছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন৷''
বাংলা ব্লগ সাইট সামহয়্যার ইন ব্লগে নাঈমুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘পদত্যাগের পরদিন মঙ্গলবারও মন্ত্রীরা তাদের কর্মস্থলে আসলে এ নিয়ে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়৷ কর্মকর্তাদের অনেকেই মন্ত্রীদের নির্দেশে কাজ করতে আগ্রহী নন বলে মিডিয়া প্রকাশ করে৷ তাদের মতে, পদত্যাগের পর মন্ত্রীরা এখন অবৈধ৷''
একই ব্লগ সাইটে ব্লগার আশম এরশাদ সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘বিএনপি দায়িত্বশীল দল হিসাবে নিশ্চয় সংবিধানের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করবে৷ তাই অবিলম্বে বিএনপির ও উচিত হবে সংলাপের ডাকে সাড়া দিয়ে একটা ফয়সালায় পৌঁছানো৷ রায় পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল আর সম্ভব নয় সেটা বিএনপি নিশ্চয় বুঝে ফেলেছে৷''
এদিকে, ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় তাসকিনা ইয়াসমিন অ্যামি লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রীদের মাথার ঠিক নাই তাই৷ তারা ভুলেই গেছে পদত্যাগ করলে পদ ছাড়তে হয়৷ মন্ত্রীদের আবার স্কুলে ভর্তি করতে হবে৷ তাহলে তারা বাংলা ক্লাশে দরখাস্ত লিখে শিখবেন যে পদত্যাগ করলে দায়িত্ব ছাড়তে হয়৷ এখন যেটা চলছে সেটা এ বছরের সেরা সরকারি জোকস৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন