এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেল

মেট্রোরেল প্রকল্প শুরু হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে৷ সেখানে উড়াল সড়কের কাজ প্রায় শেষের দিকে৷ এরপরই তার উপর রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে৷

মেট্রোরেলের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত৷ এ অংশের চাকা ঘুরবে সবার আগে৷ প্রায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ অংশের অর্ধেকেরও বেশি উড়াল সড়কের কাজ শেষের দিকে৷

মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথমাংশে স্টেশন থাকছে মোট নয়টি৷ এগুলো হচ্ছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁও৷

মেট্রোরেলের দ্বিতীয়াংশ হবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত৷ এ অংশের উড়াল সড়ক এখনো দৃশ্যমান নয়৷

মেট্রোরেলের দ্বিতীয়াংশে স্টেশন থাকছে মোট সাতটি৷ এগুলো হলো বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল৷

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে নির্ধারিত জায়গাগুলোতে চলছে মেট্রোরেলের স্টেশন তৈরির কাজ৷

স্টেশনগুলো তিনতলা উচ্চতায় হবে৷ ট্রেনে ওঠার জন্য তৃতীয় তলার উপরে প্ল্যাটফর্ম থাকবে৷ স্টেশনগুলোতে ওঠার জন্য সাধারণ সিঁড়ির পাশাপাশি থাকবে লিফট ও চলন্ত সিঁড়ি৷ টিকিট দিয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ব্যবস্থা হবে স্বয়ংক্রিয়৷

মেট্রোরেল প্রকল্পের পুরো ২০ কিলোমিটারই হচ্ছে উড়াল সড়কে৷ উড়াল সড়কগুলো যাচ্ছে মাটির ১৩ মিটার ওপর দিয়ে৷ পুরো অংশে উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলে রেলের লাইন বসানো হবে৷ শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য লাইনের পাশে শব্দনিরোধক দেয়াল থাকবে৷

মেট্রোরেল প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশের কাজ করতে গিয়ে সংকোচন করা হয়েছে বিভিন্ন গণপরিবহনের চলার পথ৷ ফলে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের৷ এতে বিজয় সরণি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলকারী মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে৷

শুরুতে বাংলাদেশ সরকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ এ বছরের ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দিলেও কাঙ্খিত গতিতে কাজ না এগোনোর কারণে পুরো সড়কই ২০২১ সালের বিজয় দিবসে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷