ওয়েবক্যামে আড়ি পাতা
২ মার্চ ২০১৪গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের দাবি, ব্রিটেনের সিগন্যালস ইনটেলিজেন্স ডিভিশন ওয়েবক্যাম ভিডিও-র ছবি সংগ্রহ করছে৷ ইয়াহু পরিষেবার মাধ্যমে যাঁরা ভিডিও চ্যাট করেন, তাঁদের ছবি আর গোপন থাকছে না৷ প্রতি ৫ মিনিট অন্তর ওয়েবক্যামের ছবির স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে৷ গার্ডিয়ান-এর সূত্র অনুযায়ী গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যভাণ্ডারে যে সব ছবি জমা হয়েছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশই নগ্নতা ও যৌন আচরণে ভরা৷
‘অপটিক নার্ভ' নামের এই উদ্যোগের আওতায় ঠিক কতকাল ধরে কত জন ব্যবহারকারীর উপর গোয়েন্দাগিরি চলছে, তা অবশ্য পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ গার্ডিয়ান জানায়, ২০০৮ সালেই জিসিএইচকিউ প্রায় ১৮ লাখ ইয়াহু গ্রাহকের উপর নজরদারি চালিয়েছিল৷ কমপক্ষে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই কার্যকলাপ চলেছে৷ এডওয়ার্ড স্নোডেনের নথিপত্র থেকেই এই তথ্য পাওয়া গেছে৷
গোটা বিশ্বে ইয়াহু-র গ্রাহকসংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি৷ কোম্পানি জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না৷ তবে এই অভিযোগ সত্য হলে গ্রাহকদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ ইয়াহু-র গ্রাহকদের নিজস্ব তথ্য কীভাবে গোয়েন্দা সংস্থার নাগালে এলো, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠছে৷ নিরাপত্তার জন্য যে এনক্রিপশন প্রক্রিয়া কাজে লাগানো হয়, তার পাশ কাটিয়ে বড় আকারে আড়ি পাততে সক্ষম হয়েছে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা৷
আড়ি পেতে পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা সুপরিকল্পিতভাবে অনেক মানুষের চরিত্রহননের চেষ্টাও চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)