দুর্নীতির অভিযোগ
১৩ জুন ২০১৭হোয়াইট হাউস থেকে বেশি দূরে নয় ট্রাম্প ইন্টারন্যাশানাল হোটেল৷ সেখানে বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলি আচমকা অস্বাভাবিক অঙ্কের ব্যয় করতে শুরু করেছে৷ ২০শে জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবার পর থেকে এমনটা চলে আসছে৷ বিশেষ করে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি এ ক্ষেত্রে বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে৷ যেমন, কুয়েতের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান এই হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে৷ সৌদি আরবও সেখানে লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করছে৷ শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এবং তাঁর প্রশাসনও ট্রাম্প হোটেলে অতিথিদের আপ্যায়ন করছেন৷ নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশানাল টাওয়ারেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সেখানে চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক আইসিবিসি অফিস ভাড়া নিয়েছে৷ রাশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানও ট্রাম্প টাওয়ারে অর্থ ঢালছে৷
অথচ মার্কিন সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কোনো ব্যক্তি সেই পদের সুযোগ নিয়ে নিজের সম্পদ বাড়াতে পারেন না৷ তিনি দেশি-বিদেশি সরকারি উপহার বা উপঢৌকনও গ্রহণ করতে পারেন না৷ আসলে অ্যামেরিকার ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত এমন মাপের ব্যবসায়ী কখনো প্রেসিডেন্ট হননি৷ প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করার পরেও ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থ থেকে নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করেননি৷
এমন পরিস্থিতিতে মামলা করা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে৷ ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল ব়্যাসাইন অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট হবার পর ট্রাম্প তাঁর ব্যবসা এক ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি এখনো সে সবের মালিক রয়েছেন৷ সেই সব ব্যবসা থেকে যে আয় হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বেশ সচেতন৷ ব়্যাসাইন আরও বলেন, মার্কিন কংগ্রেস সব দেখেশুনেও নীরব রয়েছে৷ মেরিল্যান্ড রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলও একই অভিযোগ পেশ করেছেন৷
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল এই দুই অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ ক্ষেত্রে মদদ দিচ্ছে বলে তিনি পালটা অভিযোগ করেন৷ ট্রাম্পের আইনজীবীরা এর যোগ্য জবাব দেবেন, বলেন স্পাইসার৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)