1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার প্রকাশ্যেই বললেন ডনাল্ড ট্রাম্প

৪ অক্টোবর ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউক্রেনকে একই আহ্বান জানানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিরোধীরা৷

https://p.dw.com/p/3QiR9
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/White House

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিয়ের জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে ট্রাম্প তাঁকে জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানান বলে অভিযোগ করছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা৷

এরই মধ্যে ডনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে চীনকে একই আহ্বান জানান৷ হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘বাইডেনদের বিরুদ্ধে চীনের তদন্ত শুরু করা উচিত৷’’ তিনি জানান, এর আগে তিনি বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে অনুরোধ করেননি৷ তবে ‘‘অবশ্যই এটি এমন এক বিষয়, যে ব্যাপারে আমরা চিন্তা শুরু করতে পারি,’’ বলেন ট্রাম্প৷

পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি টুইটও করেছেন তিনি৷ এতে তিনি লিখেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করার... অধিকার রয়েছে, সম্ভবত এটা আমার কাজও৷ এবং আমাদেরকে সহায়তা করতে অন্য দেশকে অনুরোধ করা কিংবা পরামর্শ দেয়াও এর মধ্যে পড়বে৷’’

উল্লেখ্য, আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সম্ভাবনা আছে জো বাইডেনের৷ ফলে প্রেসিডেন্টের পদ ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে৷

তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷

এবার চীনকে প্রকাশ্যে অনুরোধ জানিয়ে প্রেসিডেন্টের এমন আচরণ, স্বাভাবিক হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প৷ অতীতেও এমন কৌশল ব্যবহার করে সফল হয়েছেন তিনি৷ গোপন কোনো কথাবার্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেগুলো তিনিই সামনে নিয়ে এসেছেন৷ এভাবে কোনো বিষয় ঢাকার চেষ্টা করছেন কিংবা বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প৷

এর আগে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের ইমেল প্রকাশ করার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ এর কিছুদিন পর হ্যাকাররা সেসব ইমেল প্রকাশ করেছিলেন৷

সেই সময়ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷

এদিকে, ডেমোক্র্যাটদের শুরু করা অভিশংসন প্রক্রিয়া হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি৷ শুক্রবারই হয়ত এমন একটি চিঠি হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিরস কাছে পাঠানো হতে পারে৷ যুক্তি হিসেবে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের ব্যবস্থা না করেই অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হতে পারে৷ এর আগে রিচার্ড নিক্সন ও বিল ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের ভোট নেয়া হয়েছিল৷

তবে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের মাইনরিটি লিডার কেভিন ম্যাকার্টনিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, সংবিধানে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই৷

অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অ্যালেন লিশটম্যানও বলছেন, সংবিধানে অভিশংসন তদন্ত শুরুর স্পষ্ট কোনো নিয়মের কথা বলা হয়নি৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি)