কেউ বুঝতে পারেননি
১৮ আগস্ট ২০১৩এখন প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম বাসারিসিয়ন নেবলিনা৷ ওজন এক কেজির মতো৷ গোলাপি-বাদামি রোমশ শরীরে খুব চোখে পড়ে গোল গোল দুটো চোখ৷ ছোট ছোট থাবাও আছে তাদের৷ সেই থাবা এ গাছ থেকে ও গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ানোয় একমাত্র সহায়৷ গাছের ফল-লতা-পাতা খায়, পছন্দ হলে পোকামাকড়ও খায় ওলিংগুইতো৷ প্রাণী বিষয়ক ম্যাগাজিন জুকিজ এর ১৫ই আগস্ট সংখ্যায় ছাপা হয়েছে এ খবর৷ পত্রিকাটির মাধ্যমে গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, ওলিংগুইতো আসলে ইকুয়েডর আর কলম্বিয়ার চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরগুলোতে অনেক বছর ধরেই ছিল৷ কিন্তু সবাই তাদের ওলিংগো বলে ভুল করেছেন৷ ওলিংগো দেখতে প্রায় এক রকম হলেও আকারে বেশ বড়৷ দর্শনার্থীরা, এমনকি চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরের বিশেষজ্ঞরাও ভেবে এসেছেন ওরা একটু ছোট আকারের ওলিংগো৷ কত বড় ভুল অনুমান!
এখন আর বিষয়টি অনুমানের পর্যায়ে নেই৷ গবেষকরা গিয়ে স্বচক্ষে দেখে এসেছেন, ৩৮ বছর আগে সর্বশেষ দেখা যাওয়া এই প্রাণীগুলো এখনো পশ্চিম আন্দেসে দিব্যি বেঁচেবর্তে আছে৷ একটা দুটো নয়, শত শত ওলিংগুইতো আছে ওই পর্বতমালায়৷ গাছে থাকতে ভালোবাসে, আর সেখানে গাছ আছেও প্রচুর৷ ওলিংগুইতোর তাই খারাপ থাকার কোনো কারণই নেই৷
কিন্তু লোকালয়ে তাদের ভালো থাকা প্রায় অসম্ভব৷ সেরকম গাছপালা, পোকামাকড় পাবে কোথায়? গবেষকরা জানিয়েছেন, ওলিংগুইতোরা ছিল এমন জায়গার মধ্যে শতকরা ৪২ ভাগই নাকি এখন কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এমন চলতে থাকলে ছোট্ট, মিষ্টি প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বাধ্য৷ তাছাড়া অনেক বণ্য প্রাণীর তুলনায় ওলিংগুইতো বেশ নিয়ন্ত্রিতভাবেই বংশ বিস্তার করে৷ একবারে একটির বেশি সন্তান কখনোই নয়৷ সেকারণেই ওলিংগুইতোদের টিকিয়ে রাখতে হলে একটু যত্ন করেই রাখতে হবে৷ সেরকম যত্নআত্তি করা যাবে ওদের সম্পর্কে আরো ভালো করে জানা গেলে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাশনাল হিস্ট্রির কিউরেটর ক্রিস্টোফার হেলগেনও স্বীকার করেছেন, ‘‘প্রাণীটি খুব সুন্দর৷ কিন্তু আমরা এর সম্পর্কে খুব কমই জানি৷''
এসিবি / এআই (এএফপি)