1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কনফেড কাপ: ‘টিকি-টাকা’ আজও অব্যর্থ

১৮ জুন ২০১৩

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা, রেয়াল মাদ্রিদের ভরাডুবির পর স্পেনের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পণ্ডিতরা৷ কনফেড কাপে সেই ‘পেশেন্টের’ ‘কন্ডিশন’ সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া গেল৷

https://p.dw.com/p/18rEs
ছবি: Reuters

বায়ার্ন মিউনিখ কি ডর্টমুন্ড, এবং সেই সঙ্গে জার্মান ফুটবল যখন ফুটবলের পরাকাষ্ঠা বলে গণ্য হচ্ছে, তখন স্পেন বা ইটালিকে পোঁছে কে? এতবড়ো ভুলটা বোধহয় অনেকেই না করলে পারতেন৷ অন্তত কনফেড কাপে স্পেন ও ইটালির পারফর্মেন্স দেখে তাই মনে হতে পারে৷

চ্যাম্পিয়নশিপের সিডিইলিং'এ ফিফার চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা কারো নেই৷ তাই এবারের কনফেড কাপেও পর পর ব্রাজিল, স্পেন ও ইটালির কেরামতি দেখা গেল, সরাসরি তুলনা করা গেল৷ যে কারণে কনফেড কাপকে বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সাল বলে আরকি!

জার্মানি এই কনফেড কাপে নেই, তা-তে সাসপেন্স বাড়ছে বৈ কমছে না – যেহেতু অনেকেই ধরে নিতে শুরু করেছিলেন যে, জার্মানি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জিতবেই৷ জার্মান সিস্টেমই নাকি এমন যে, তা-তে তারকাদের প্রয়োজন পড়বে না, শুধু ফিটনেস, ডিসিপ্লিন ইত্যাদি দিয়ে কাজ চলে যাবে৷

কিন্তু ইসরায়েলের আন্ডার-টোয়েন্টিওয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রমাণ করে দিল যে, গুইন্ডোয়ান কি গোয়েটৎসের মতো তরুণ প্রতিভাদের ‘এ' টিমের জাতীয় কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ-এর হাতে ছেড়ে দিয়ে ইউ-টোয়েন্টিওয়ান জেতা যায় না৷

ওদিকে স্পেন তাদের তরুণ তারকাদের ইসরায়েলে পাঠিয়েছে এবং তার ফলও পেয়েছে৷ এমনকি সমালোচনাও শুনেছে, তরুণ তারকাদের ইসরায়েলে পাঠালে ব্রাজিলে কনফেড কাপের কি হবে? কি হবে, সেটাই স্পেন করে দেখালো গত রবিবার উরুগুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে৷

আবার সেই টিকি-টাকা খেলা৷ উরুগুয়ে খেলার প্রথম ১৫ মিনিটে বল প্রায় ছুঁতে পারেনি৷ ফার্স্ট হাফে বল স্পেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৭৭ শতাংশ সময় ধরে, সেকেন্ড হাফে ৭১ শতাংশ৷ এর উদ্দেশ্য দ্বিবিধ: প্রথমত, বিপক্ষের কাছে বল না থাকলে সে গোল দেবে কি করে? দ্বিতীয়ত, বল না পাওয়ার হতাশা থেকে তার মেজাজ ক্রমেই চড়তে থাকবে এবং সে ফাউল করতে শুরু করবে৷

এ সবই তো হলো৷ তবুও একটা সমস্যা থেকে যায়: এ পক্ষ থেকেও গোটা কয়েক গোল করা দরকার, কেননা খেলার হারজিত তাই দিয়েই নির্ধারিত হয়৷ সেই দৃষ্টিকোণ থেকে স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কের সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল ফের্নান্দো টরেসকে না নামিয়ে ‘মেকি ন'নম্বর' হিসেবে রবের্তো সোলদাদোকে নামানো৷

সোলদাদো ফাব্রেগাস-এর একটি চমৎকার পাসে দ্বিতীয় গোলটি করেন বটে, কিন্তু তার পরে উরুগুয়ের লুইজ সুয়ারেজ-এর ফ্রি কিকে করা গোলটি খেলার স্কোর নামিয়ে আনে ২-১'এ৷ অর্থাৎ উরুগুয়ে এরপর তালেগোলে একটি গোল করতে পারলেই এ খেলা ড্র-ও হতে পারত৷ ঠিক সেই খাঁকতিটাই স্বীকার করেছেন সোলদাদো: স্পেনের আরো গোল করা দরকার৷

আরেকটা কথা না বলে এই সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা শেষ করা চলে না: স্পেনের মিডফিল্ডের ‘মাস্টারমশাই' আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার যে ফর্ম দেখা গেল, তা-তে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে', শুধু এটুকুই বলা চলে৷ ইনিয়েস্তার বিশ্লেষণে, দ্বিতীয়ার্ধ স্পেন একটু ঢিলে দিতে বাধ্য হয়েছিল ভ্যাপসা গরমের জন্য৷

সব মিলিয়ে নাইমার-সমৃদ্ধ ব্রাজিল, কিংবা আন্দ্রেয়া পির্লো ও বালোতেল্লি সমৃদ্ধ ইটালিকে যা দেখা গেল এবং আগামীতে যাবে, তা-তে এই কনফেড কাপকে নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের যবনিকা উত্তোলন বলা চলে৷

এক কথায়, ২০১৪ সালে ব্রাজিলে সব কিছু ঘটতে পারে!

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য