করোনার পরে জীবন নিয়ে উদ্বেগ কাটাতে পরামর্শ
২৯ এপ্রিল ২০২১প্রায় এক হাজার ৬০০ ব্রিটিশ নাগরিক জরিপে অংশ নেন৷ এদের ৪৯ শতাংশ মনে করছেন, ২০২০ সালের মার্চের আগের জীবনে ফিরে যাওয়ার কাজটি কঠিন হবে৷ এদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ বলেছেন, আগের মতো মানুষের ভিড়ের মধ্যে যাওয়ার কাজটি সহজ হবে না৷ ১৬ শতাংশ মনে করছেন মানুষের সঙ্গে মেশা, আড্ডা দেয়ার বিষয়টি কঠিন হবে৷
ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির সদস্য জুলিয়া ফাউলকনব্রিজ জরিপের ফলাফলে অবাক হননি৷ ‘‘এমন ফলই আমি আশা করছিলাম,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷ বরং ‘‘মানুষের যদি এমন বড় পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ না থাকত, তাহলে আমি অবাক হতাম৷''
ইউকে কাউন্সিল ফর সাইকোথেরাপির মুখপাত্র ও সাইকোথেরাপিস্ট ব্রেট কার বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী আমরা সবাই ট্রমার মধ্যে আছি৷ পুরো বিশ্ব একটি খুবই অনিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে৷'' তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় আপনি যদি যুদ্ধের এলাকা থেকে দূরে থাকেন তাহলে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারেন৷ ‘‘কিন্তু করোনা ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের সবাই একই বাতাস শেয়ার করেন,'' বলেন ব্রেট কার৷ তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় পোশাক দেখে শত্রু চেনা যায়, কিন্তু করোনার সময়ে ‘‘আপনার স্বামী কিংবা আপনার সন্তান আপনার ‘শত্রু' হয়ে উঠতে পারে৷''
পরামর্শ
জুলিয়া ফাউলকনব্রিজ বলেন, করোনা পরবর্তী জীবন শুরুর সময় মানুষকে প্রথমে চিন্তা করে দেখতে হবে, করোনার সময় তিনি আসলে কোন বিষয়টা করতে না পারায় সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছেন৷ যেমন নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাবে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ার পানের চেয়ে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা'' হতে পারে৷
ফাউলকনব্রিজ বলেন, যারা মনে করছেন করোনার পর স্বাভাবিক জীবনে ফেরাটা কঠিন হবে, তাদের মনে রাখতে হবে যে, এক্ষেত্রে তারা একা নন৷ আরও অনেকেই তাদের মতো ভাবছেন৷
যারা স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে উদ্বেগে আছেন তাদের জন্য আরেকটি পরামর্শ দিয়েছেন ফাউলকনব্রিজ৷ সেটা হচ্ছে, আগে থেকে পরিকল্পনা করা৷ সেটা হতে পারে এমন৷ যাদের সঙ্গে আপনি দেখা করতে যাচ্ছেন তাদের আগেই জানিয়ে দেয়া যে, কোন বিষয়গুলো আপনাকে নার্ভাস করে৷ দেখা হওয়ার পর কোলাকুলি না করার কথাও বলতে পারেনি আপনি৷
কার্লা ব্লাইকার/জেডএইচ