1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতারে তালেবানকে কার্যালয় খুলতে মার্কিন সমর্থন

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১

তালেবানকে মার্কিন সমর্থন৷ কথাটা মোটামুটি আশ্চর্যের মতোই শোনাতে পারে৷ কিন্তু সেটাই হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টাইমস’৷ তবে অ্যামেরিকা এই খবরের সত্যতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷

https://p.dw.com/p/12ase
আফগানিস্তানে তালেবান আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত এক নিরাপত্তা সদস্যছবি: dapd

খবরটা এরকম - কাতারের রাজধানী দোহাতে তালেবান একটি অফিস বা কার্যালয় খুলতে পারবে৷ এ ব্যাপারে নাকি সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিকে সংবাদটি বেরিয়েছে৷ পশ্চিমা কূটনীতিকরা মনে করছেন, তালেবানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরুই এর উদ্দেশ্য৷

কূটনীতিকদের আশা, এক দশক ধরে চলে আসা আফগান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে এটা সহায়তা করবে৷ এছাড়া এর ফলে সরকারের সঙ্গে তালেবানের বিরোধ মেটানোও সহজ হতে পারে৷

পত্রিকাটি বলছে, কার্যালয়টি যেন পাকিস্তান ও তার প্রভাবিত এলাকার বাইরে হয় সেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন৷ পশ্চিমা এক কূটনীতিক ‘দ্য টাইমস' পত্রিকাকে বলেছেন, এটা হবে তালেবানের একটা রাজনৈতিক ঠিকানা৷ তবে এটা কোনো দূতাবাস বা কনসুলেট অফিস হবে না৷ এটা হবে যে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসের মতোই একটা স্থান৷ ঐ কূটনীতিক বলেন, অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তালেবানকে এই অফিস ব্যবহার করতে দেয়া ঠিক হবেনা৷

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড পত্রিকার প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় আফগানিস্থানে আফগানরাই নেতৃত্ব দিক৷ কেউ যদি বিরোধ মেটাতে চায় তাহলে তাকে আফগান সংবিধান মেনে নিতে হবে, সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে হবে, অস্ত্র ছাড়তে হবে এবং মানবাধিকারের ইস্যুগুলো সমর্থন করতে হবে৷

এদিকে দোহার কার্যালয়ে পাঠানো প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হবেনা, এ বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছে তালেবান৷

তালেবানকে অফিস খুলতে দেয়ার ব্যাপারে মার্কিন সমর্থনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটেন৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এটা অ্যামেরিকার নিজস্ব ব্যাপার৷

উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে ক্রমেই বিদেশি সেনারা চলে যাচ্ছে৷ এরপর থেকে দেশটির দায়িত্বে থাকবে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী৷ কিন্তু ইতিমধ্যে তালেবান তার শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে৷ এবং তাদের প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে আফগান বাহিনী৷ তাই তালেবানের সঙ্গে সরকারের বিরোধ মেটানোটা জরুরি হয়ে পড়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক