1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতার সংকট

৬ ডিসেম্বর ২০১৭

চলমান কাতার সংকট নিয়ে কোনো আলোচনা ছাড়াই শেষ হলো উপসাগরীয় দেশগুলোর অন্যতম জোট গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল জিসিসি'র সম্মেলন৷ দু'দিন ব্যাপী এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলন শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এর সমাপ্তি টানা হয়৷

https://p.dw.com/p/2oqkQ
ছবি: Reuters/H. I. Mohammed

জোটের অন্যতম শরিক সৌদি আরবসহ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ওমানের রাষ্ট্রপ্রধানরা শীর্ষ পর্যায়ের এ সম্মেলনে অংশ নেননি৷ এবারের আঞ্চলিক এ সম্মেলনে কাতার যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ায় সংকট নিরসনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা-ও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়, যা জোটের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ গত জুনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় চারটি দেশ ‘ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মদদ’ দেয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়৷ এরপর কুয়েতের নেতৃত্বে গাল্ফ দেশগুলোর মধ্যকার এ সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়৷

তবে কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-সাবাহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘সদস্য দেশের যে কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতিকেই আমরা স্বাগত জানায়৷ স্পর্শকাতর পরিস্থিতির পরও এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ সংস্থার প্রতি জিসিসি নেতৃবৃন্দের বিশ্বাস ও আস্থা প্রকাশ পেলো৷’’ কাতারের সাথে সংকট শুরুর পর থেকে মধ্যস্ততাকারী দেশ হিসেবে কাজ করছে কুয়েত৷

সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক ঐক্যের লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলোর কমন মার্কেট ও কাস্টমস ইউনিয়ন একীভূত করার উপর জোর দেয়া হয়েছে এবারের সম্মেলনে৷ একই সাথে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দেশগুলোর দৃঢ় অবস্থানও তুলে ধরা হয়৷ এছাড়া, জিসিসি’র পক্ষ থেকে ইয়েমেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি আলি আব্দুল্লাহ সালেহ নিহত হওয়ার ঘটনায় শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের কঠোর সমালোচনা করা হয়৷ বিবৃতিতে জানানো হয়, ইরানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও আরব দেশগুলোর নিজস্ব বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টারও নিন্দা জানায় জিসিসি৷ এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কাজ করতে বদ্ধপরিকর জিসিসি৷

এর আগে সম্মেলন শুরুর আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, সৌদি আরবের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দু'দেশের মধ্যে একটি সহযোগিতা কমিটি গঠন করা হচ্ছে৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, নতুন এ কমিটির কাজ হবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সব ধরনের সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংষ্কৃতিক ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সহযোগিতা নিশ্চিত করা৷ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতাশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মধ্যে সুসম্পর্কের জেরে কয়েক বছর ধরেই দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে৷

১৯৮১ সালে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক একটি জোট গঠনের লক্ষ্যে গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল গঠিত হয়৷ সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত এই জোটের সদস্য৷

আরএন/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)