কার্নিভালে গাড়ি হামলা জার্মানিতে, আহত তিরিশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০জার্মানির ফল্কমার্জেন শহরে কার্নিভালের শোভাযাত্রায় গাড়ি হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিরিশ জন আহত। যার এক তৃতীয়াংশ শিশু। পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই ব্যক্তি কার্নিভালের শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছিল।
সোমবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ হেসের প্রদেশের ফল্কমার্জেন শহরে কার্নিভালের শোভাযাত্রা বার হয়েছিল। বছরের এই সময়ে গোটা জার্মানি জুড়ে কার্নিভাল পালিত হয়। ফল্কমার্জেনেও তেমনই অনুষ্ঠান হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শোভাযাত্রা চলাকালীন একটি মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে এক ব্যক্তি প্রথমে রাস্তার ধারের ব্যারিকেড ভাঙে, তারপর সোজা শোভাযাত্রার ভিতরে ঢুকে পড়ে। বড়দের পাশাপাশি বহু শিশুও সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। ঘটনায় তারাও আহত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ব্যক্তির বয়স ২৯। তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আরও এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটির ভিডিও তুলছিলেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। একাংশের বক্তব্য, সাক্ষী হিসেবেই ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার ঘটনাটি ঘটার পরে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং হেলিকপ্টার পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলাকারী চালকও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা অঞ্চলে আপাতত কার্নিভালের শোভাযাত্রার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, কেন ওই ব্যক্তি কার্নিভালের শোভাযাত্রায় আক্রমণ চালালো? পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এর আগেও নানা রকম অপরাধপ্রবণ কাজ করেছে ওই ব্যক্তি। তবে এর পিছনে সন্ত্রাসবাদের মদত আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে কোনও আলোচনা করতেও নিষেধ করা হয়েছে হেসে প্রশাসনের তরফ থেকে।
গত সপ্তাহেই ফ্র্যাঙ্কফুর্টে কাছে একটি শহরে শিশা বারে আক্রমণ চালিয়েছিল বন্দুকবাজ। ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। যা নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। তার পরেই ফল্কমার্জেনের ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ''ফল্কমার্জেনের ঘটনায় আহত এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি পুলিশ এবং আপৎকালীন বিভাগের কর্মীদের। দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তাঁরা।''
এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)