1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্বন নিঃসরণ কমাতে উদ্যোগ

১২ নভেম্বর ২০১৭

২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের আগে বিভিন্ন দেশকে স্বপ্রণোদিত হয়ে কার্বণ নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে অনুরোধ করে জাতিসংঘ৷ সেই সময় বাংলাদেশও সেই তথ্য জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2nQ8Y
Kohlekraftwerk in China
ছবি: picture alliance/dpa

২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০১০ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে বিদেশি সহায়তা পেলে সেটি ১৫ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে দেশটি৷

মূলত তিনটি খাত থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা বলেছে বাংলাদেশ৷ এগুলো হচ্ছে জ্বালানি, শিল্পখাত ও পরিবহণ৷

ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ৷ যেমন সারা দেশে সোলার হোম সিস্টেমকে জনপ্রিয় করে তোলা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ শক্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ সংস্থার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এম. হাসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৭ লক্ষ বসিয়েছে গ্রামীণ শক্তি৷''

মোহাম্মদ এম. হাসান

হাসান বলেন, সোলার হোম সিস্টেম ছাড়াও সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পাম্প চালানো, প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তায় সৌরশক্তি চালিত লাইটের ব্যবস্থা করা, পিকো সোলার সিস্টেম, গ্রিড টাই সোলার ইত্যাদির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস তৈরি করা হচ্ছে৷ আর এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে  প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ সরকার টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখার মতো প্রকল্পের সহায়তা নিচ্ছে৷

গ্রিড টাই সোলারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গ্রামীণ শক্তির এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় যে খোলা ছাদ আছে সেখানে সোলার সিস্টেম বসানো৷ এই ব্যবস্থা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তার পাশাপাশি ঐ সব কোম্পানির বিদ্যুৎ বিলও কমাবে৷

হাসান বলেন, ঢাকায় যে পাতাল রেল তৈরি হচ্ছে তার কারণে একই সঙ্গে অনেক লোক একটি পরিবহণে যাতায়াত করতে পারবে৷ এতে গাড়ি চলাচল কমবে, ফলে কিছুটা হলেও কার্বন নিঃসরণ কম হবে৷

Datenvisualisierung BENGALI Emissionslücke

জার্মানির বন শহরে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন তিনি৷ সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর৷ সেই সময় নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত কিছু প্রকল্পের সঙ্গে পরিচয় হয় হাসানে৷ এর মধ্যে দুই-একটি প্রকল্প ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন গ্রামীণ শক্তির এই কর্মকর্তা৷

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য