কাশ্মীরে নিহত তিন নিরাপত্তারক্ষী
১৭ আগস্ট ২০২০ফের রক্তপাত কাশ্মীরে। অতর্কিত জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেন দুই জন সিআরপিএফ জওয়ান এবং এক জন পুলিশ অফিসার। ঘটনার পরে গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, হামলাকারীরা ওই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
কাশ্মীরের বারামুল্লা বরাবরই স্পর্শকাতর এলাকা। এই অঞ্চলে একাধিকবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পুলিশ এবং সেনা জওয়ানদের লড়াই হয়েছে। তবে সোমবারের ঘটনা অভূতপূর্ব। সিআরপিএফ জানিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই বারামুল্লার ক্রিরি সেক্টারে নওগাম বাইপাসের উপর ব্যারিকেড তৈরি করেছিল সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। একের পর এক গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সে সময়ই অতর্কিতে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর এলোপাথারি গুলি চলতে শুরু করে জঙ্গিরা। পজিশন নেওয়ার আগেই দুই সিআরপিএফ জওয়ান এবং এক পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হন। যৌথ বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করার আগেই হামলাকারীরা গা ঢাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিসিটিভি ছিল। ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, চেকপোস্টের নিরাপত্তারক্ষীরা যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না। তারই সুযোগ নিয়েছে হামলাকারীরা।
ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচুর সেনা পাঠানো হয়েছে এলাকায়। গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার কাশ্মীরে আক্রান্ত হলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ১৪ অগাস্ট নওগামে দুই জন পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছিলেন।
গত বছর কাশ্মীরের বিশেষ আইন তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, এর ফলে সেখানে জঙ্গিকার্যকলাপ বন্ধ হবে। বিদেশি কূটনৈতিক অতিথিদেরও সেই একই কথা বলার চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু বিরোধী রাজনীতিকদের বক্তব্য, গত এক বছরে কাশ্মীরে সহিংস কার্যকলাপ বেড়েছে। গত এক বছরে প্রায় ১৫০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে উপত্যকায়। তার মধ্যে মাত্র ১৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক। বাকি সকলেই কাশ্মীরের। দক্ষিণ কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তারই জেরে একের পর এক হামলা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)