1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে মৃত দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী, দুই সেনা

৭ অক্টোবর ২০২০

কাশ্মীরে পৃথক দুইটি লড়াইয়ে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সেনার মৃত্যু হয়েছে। এক বিজেপি নেতা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন।

https://p.dw.com/p/3jXOJ
ছবি: Muzamil Mattoo/Zuma/picture alliance

ফের অশান্ত কাশ্মীর। সোপিয়ান জেলায় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। বুধবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, দুই জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। অন্য দিকে, শ্রীনগরের ঠিক বাইরে হাইওয়ের উপর পুলিশের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে দুই জন সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছেন।

কাশ্মীর পুলিশ বুধবার সকালে টুইট করে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে সোপিয়ানের একটি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকা রাতেই ঘিরে ফেলে পুলিশ। দুই বিচ্ছিন্নতাবাদীকে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা না শুনে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও গুলি চালাতে শুরু করে। রাতভর গুলির যুদ্ধ চলার পরে ভোরের দিকে ওই দুই বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়। পুলিশ অবশ্য এখনো পর্যন্ত দু'জনের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরে আরো এক বিজেপি নেতাকে মারা ছক কষেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাকে টার্গেটও করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই আগাম খবর পেয়ে পুলিশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। ওই বিজেপি নেতা সুস্থ আছেন বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে এ দিনই শ্রীনগরের কাছে হাইওয়ের উপরে ফের নিরাপত্তাবাহিনীর উপর আক্রমণ চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সিারপিএফ জওয়ানরা যখন রাস্তা খুলছিলেন তখন তাঁদের উপর অতর্কিতে গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় দুই জন সিআরপিএফের মৃত্যু হয়। গত কয়েক মাসে একাধিকবার একই কায়দায় সিআরপিএফের উপর এ ভাবে গুলি চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। গত এক বছরে একাধিক পুলিশ, সেনা এবং রাজনৈতিক নেতা খুন হয়েছেন কাশ্মীরে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কেন্দ্রের নীতির কারণেই নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে উপত্যকায়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)