কিশোরগঞ্জে নৌকা ডুবি, ৪৬ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক
৪ ডিসেম্বর ২০০৯কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ফুলপুর ও চারিগ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনার শাখা নদী দায়রা-এ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ডুবে যায়৷ নৌকাটিতে তখন শতাধিক যাত্রী ছিল৷
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহ আলম টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, সন্ধা পর্যন্ত ৪৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে কারও পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি৷ দুপুর ১২টায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে৷ উদ্ধার অভিযান চলছে৷ উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ৷ উদ্ধার অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল কিশোরগঞ্জে রওনা দিয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক৷
ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রী আবু আহমেদ টেলিফোনে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে মিঠামইনের চেওজুর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের কাছে ভৈরব থেকে হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আল হেলাল ফুলপুর ও চারিগ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনার শাখা নদী দায়রা-এ ইঞ্জিন চালিত নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়৷ মুহূর্তের মধ্যে নৌকাটি ডুবে যায়৷ আবু আহমেদ বলেন, নৌকাটিতে তখন একশ’র মত যাত্রী ছিল৷ নৌকাটি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কদমছাল গ্রাম থেকে করিমগঞ্জ যাচ্ছিল৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক লাশ স্রোতে ভেসে যেতে পারে৷
উল্লেখ্য গত ২৭ নভেম্বর ভোলার লালমোহনে এম ভি কোকো ৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়৷ ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় আবারও নৌ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হল৷
প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক