বেড়ালকে বাঁচালো কুকুর

তাউরাঙ্গা ভ্যাটেরিনারিয়ান কেট হেলার জানালেন, রোরি নামের জিঞ্জার প্রজাতির একটা বিড়ালকে শুক্রবার রাতে সেখানে নিয়ে আসা হয়৷ বিষাক্ত ইদুঁর খাওয়ার কারণে বিড়ালটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল বলে ধারণা তাঁর৷ তাকে যখন ভ্যাটেরিনারিতে আনা হয়, তখন বন্ধ হয়ে গেছে রক্ত পরীক্ষা করার ল্যাবরেটরি৷ তাই রোরির জন্য অন্য কোনো বিড়ালের রক্ত পরীক্ষা করা বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়৷

হেলার জানান, ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দিলে বিড়ালটির মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক বেশি৷ তাই একমাত্র উপায় ছিল একই গ্রুপের কোনো কুকুরের রক্ত সরাসরি রোরির দেহে সঞ্চালন করা৷ আর তার মাধ্যমে বিড়ালটির ইমউনো সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রাখা, যতক্ষণ না রোরির গ্রুপের কোনো বিড়ালের রক্ত পাওয়া যায়৷

কুকুরটিকে সে সময় পাওয়া না গেলে এবং সে মুহূর্তে বিড়ালটিকে তার রক্ত না দিলে সে সাথে সাথেই মারা যেত বলে জানালেন হেলার৷ বললেন, বিড়ালটার জন্য এটা বাঁচা-মরার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷

রোরির মালিক কিম এডওয়ার্ডস ল্যাবরাডোর প্রজাতির কুকুর আছে এমন একজনকে চিনতেন৷ তাই তাঁকে ফোন করা মাত্রই তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন৷

হেলার আরো জানান, কুকুরের রক্ত দেয়ার আগে, রোরি বেশ কাতরাচ্ছিল৷ কিন্তু রক্ত সঞ্চালনের এক ঘণ্টা পরই সে উঠে বসে এবং এক বাটি বিস্কুট গোগ্রাসে খেয়ে ফেলে৷

হেলার বললেন, দুটি ভিন্ন প্রজাতির পশুর মধ্যে রক্ত সঞ্চালন খুব বিরল এবং কেউই এটা আগে কখনো করেনি বা করার পরামর্শও দেয়নি৷

এমনকি এর আগে, এই ধরনের কোনো কাজ তাঁরা করেনও নি৷ কিন্তু বিকল্প কোনো পথ না থাকায় জরুরি অবস্থায় তাঁরা এটা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানালেন হেলার৷

এডওয়ার্ড জানালেন, ভেটেনারি থেকে ফিরে রোরির চমৎকার পরিবর্তন হয়েছে৷ সে আগের মতোই চলাফেরা করছে৷ আগের মতোই শুরু করেছে খেলা৷

এপিবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)