ইরাক ইস্যুতে জার্মানিতে বিতর্ক
১২ আগস্ট ২০১৪ইরাকের উত্তরাঞ্চলে নির্যাতনের শিকার খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরো মানবিক সহায়তা দিতে জার্মান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, শিল্পী এবং ধর্মীয় প্রতিনিধিদের একটি গোষ্ঠী৷ জার্মানি এক্ষেত্রে ধীর গতিতে সাড়া দেয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অনেকের মাঝেই৷ কেননা ইরাকের উত্তরাঞ্চলের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন৷
গোষ্ঠীটি এক খোলা চিঠিতে সোমবার জানিয়েছে, ‘‘উগ্রপন্থি ইসলামি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস-এর উত্থানের কারণে ইরাকের অসংখ্য মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে৷'' জার্মানির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোট সিডিইউ এবং এসপিডি-র রাজনীতিবিদরাসহ সবুজ দল, এফডিপি এবং বাম দলের সদস্যরাও চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন৷
এদিকে, শরণার্থীদের জন্য এখন অবধি ৪.৪ মিলিয়ন ইউরোর মানবিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি৷ গত সপ্তাহের তুলনায় সহায়তার এই পরিমাণ দ্বিগুণ৷ এই সহায়তা মূলত চিকিৎসা খাত, স্বাস্থ্যগত পুর্নবাসন এবং সুপেয় পানির পেছনে ব্যয় করা হবে৷ পাশাপাশি সহিংসতায় ঘরছাড়াদের জীবিকার চাহিদা মেটাতেও সহায়তা করা হবে৷
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমেয়ার জানিয়েছেন, ‘ইসলামিক স্টেট' জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে আশ্রয় নিচ্ছে৷ আমরা অবশ্য বাস্তুহারাদের সহায়তা করবো, বলেন স্টাইনমেয়ার৷
প্রসঙ্গত, কুর্দি সেনারা জার্মানির কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে অস্ত্র চাইছে৷ তবে সরকারের কুর্দিদের অস্ত্র সহায়তা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্টেফেন সিবার্ট৷ জার্মান সরকারের এই মুখপাত্র জানান, সংকটপূর্ণ এবং যুদ্ধ এলাকায় জার্মানি অস্ত্র রপ্তানি করে না৷ এটাই জার্মানির নীতি৷ বর্তমান এবং সাবেক সকল সরকারই এই নীতি মেনে চলেছে বলে জানান সিবার্ট৷
জার্মান রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেই সরকারের এই নীতিকে সমর্থন করেছেন৷ তাঁদের মতে, কুর্দি অঞ্চলে অস্ত্র সহায়তা শেষমেষ কোনো কাজে আসবে না৷ তার চেয়ে মানবিক সহায়তার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা৷ তবে সবুজ দলের প্রধান চেম ও্যজদেমির মনে করেন, কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র সহায়তা করা উচিত৷ আর এতে ভুল কিছু দেখেন না তিনি৷