কেলে শহরের ড্রাগন
২৪ জানুয়ারি ২০২০ফ্রান্সের কেলে শহরে এসেছে বিরাট এক ড্রাগন৷ ড্রাগনটি দশ মিটার উঁচু, ২৫ মিটার দীর্ঘ এবং এর ওজন ৭২ টন৷ এই প্রদর্শনীর পর একে কেলে শহরে রাখা হয়৷ মধ্য ডিসেম্বর থেকে ফ্রেঞ্চ এই বন্দর শহর নিয়মিত প্রদক্ষিণেও বের হচ্ছে সে৷ প্রতিবার ২০ মিনিটের জন্য৷
‘‘চমক সবসময়ই আছে৷ এটা বানানো সহজ ছিল না৷ অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের,'' বলেন এর নির্মাতা ফ্রাসোয়াঁ দুলারোজিয়ের৷ ‘‘যাই হোক, ড্রাগন তৈরি হয়ে গেছে এবং সে রাস্তায় হাঁটছে এমনকি বৈরি আবহাওয়াতেও৷ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসেও আমাদের প্রদর্শনী চলেছে৷ কেলে শহরবাসীরাও ছিলেন৷ সব মিলিয়ে অসাধারণ৷''
কয়েক মাস আগে ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের আরেক শহর নতেঁ লোহা ও কাঠ দিয়ে ড্রাগনটি বানানো শেষ হয়৷ স্কেচ থেকে শুরু করে পুরো কাজ শেষ করতে লেগেছে দুই বছর৷
এর নকশা করেছেন ফ্রাসোয়াঁ দুলারোজিয়ের৷ তিনি ‘লা মেশিন' নামের এই ড্রাগনের নির্মাতা৷ পুরো কাজটি নামাতে ৮০ জন কাজ করেছেন৷ এর মধ্যে কামার, কাঠের মিস্ত্রী, আঁকিয়ে ও প্রোগ্রামাররা ছিলেন৷
‘‘আমি প্রথমে একটি স্কেচ তৈরি করি৷ একজন ভাস্কর তখন এর কাঠের মডেল টেমপ্লেটটি তৈরি করেন৷ ওটা ছিল কেলের ড্রাগনটির প্রোটোটাইপ৷ এরপর ডিজিটাল প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়,'' বলেন শিল্পী দুলারোজিয়ের৷
ড্রাগনের চামড়া প্রায় ২০০টি আলাদা অংশ দিয়ে তৈরি করা হয়৷ প্রতিটি কাঠ দিয়ে তৈরি৷ ১৭ জনের দায়িত্ব হলো যেন সে ঠিকঠাক চলতে পারে৷
কারিগর ফাবিয়েন লুডুক বলেন, ‘‘এর মাথায় পাইলট বসেন, যিনি মাথার নড়াচড়া ও অঙ্গভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করেন৷ এরপর দুইজন আছেন নীচে, যারা মুখ, জিহ্বা, চোখ ও কান নিয়ন্ত্রণ করেন৷ পেছনে আছেন পিয়েরে৷ তিনি স্পেশার এফেক্টগুলো দেন, যেমন পানি, আগুন ও ধোঁয়া৷ ডানাগুলোর জন্য আছেন একজন এবং লেজের জন্য আরেকজন৷ প্রতিটি থাবায় একজন, গাড়ি চালান একজন এবং আরেকজনের দায়িত্ব হলো পুরো বিষয়টা সমন্বয় করা৷''
এই ড্রাগন কী করতে পারে, তা বোঝা যায় রাত নামলে৷ আর পরদিন সকালে আপনি নিশ্চিত নন যে রাতে যা ঘটেছিল তা সত্যি ছিল না নিছকই স্বপ্ন!
ইয়ানা ও্যর্টেল/জেডএ