1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে হলিউড

১২ ডিসেম্বর ২০০৯

বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে উত্তর মেরুতে বরফ গলতে শুরু করেছে, যা এখন এক বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই নয় কি? শ্বেতভল্লুকদের জন্য তা কি ক্ষতিকারক নয় ? দ্রুত একবার ভেবে দেখুন তো৷

https://p.dw.com/p/L0uF
জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বকে বাঁচাতে বিক্ষোভছবি: AP

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লক্ষাধিক মানুষ এখন উদ্বাস্তু৷ জাতীয় নিরাপত্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন ভাবনার বিষয় ৷ বেঁচে থাকার জন্য তাদের স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে৷ এটি ভবিষ্যতের জন্য নয় বর্তমানেই বিশাল সমস্যার সৃষ্টি করছে৷

এই সপ্তাহের সোমবার কোপেনহেগেন সম্মেলনে চলচ্চিত্র পরিচালক মিশেল নার্স এবং জাসটিন হুগেন পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র,‘ক্লাইমেট রেফিউজি' সম্মেলনের প্রধান এবং বিজ্ঞানীদের সামনে প্রর্দশিত হবে৷

নার্স রয়টারকে কোপেনহেগেনে তাদের প্রামাণ্যচিত্রটি সর্ম্পকে বলেন, প্রামাণ্যচিত্রটি সেই রাজনীতিকদের দেখানো হবে যারা বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিহত করতে আইন পাসে বাধা দিচ্ছেন৷ সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবের প্রিমিয়ারে সাধারণ দর্শকদের দেখানোহবে৷

চলচ্চিত্র পরিচালক নার্স জলবায়ু উদ্ধবাস্তু সর্ম্পকে বিজ্ঞানী ও রাজনীতিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন৷ সাক্ষাৎকারে মার্কিন সেনেটর জন কেরি থেকে শুরু করে সাবেক কংগ্রেস মুখপাত্র নিট গিনরিচ্ এ পরিবর্তনকে নিরাপত্তার বিষয় বলে আখ্যা দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির স্থান পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সম্পদের দ্বন্দ্বের দিকে ঠেলে দিবে বলে মন্তব্য করেন৷

২০০৬ সালে উটায় সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর ‘অ্যান্ ইনকানভানিয়েন্ট ট্রুথ' প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছিল যা বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি অস্কার জয় করে নেয়৷

নার্স আরো বলেন, কোপেনহেগেনে আসতে পেরে তারা আনন্দিত তবে নীতিনির্ধারকরা আসলে কি চাচ্ছেন সে সর্ম্পকে জনগনকে জানানো প্রয়োজন৷

শুষ্ক আফ্রিকায় খাবার ও পানির অভাব, বাংলাদেশে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘর ছাড়া মানুষদের সম্পর্কে বছর তিনেক আগে নার্স জানতে পারেন৷ এরপরই তারা প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করতে আগ্রহী হন যার চিত্রায়ন হয়েছে ভারতের উড়িষ্যা, কান্দাপুরা ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ টুভালুতে৷

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওম) জানায়, ২০০৮ সালের মধ্যেই ২০ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েছে৷

প্রতিবেদন: আসফারা হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক