1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজভ্যাটিকান

ক্যানাডার আদিবাসী স্কুলে নিগ্রহ সাংস্কৃতিক ‘গণহত্যা’: পোপ

৩০ জুলাই ২০২২

ক্যানাডা থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পোপ ফ্রান্সিস৷ তিনি বলেন, মাথায় না আসায় সফরের সময় তিনি ‘গণহত্যা' শব্দটি ব্যবহার করেননি৷

https://p.dw.com/p/4EuIo
ক্যানাডা সফরের সময় ‘গণহত্যা' শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপ
ক্যানাডা সফরের সময় ‘গণহত্যা' শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপছবি: Ciro Fusco/Zuma/picture alliance

শনিবার পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ক্যানাডায় আদিবাসীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে–তা আসলে ‘গণহত্যা' হিসাবে গণ্য করা উচিত৷ ছয় দিনের সফরে ক্যাথলিক গির্জার নিয়ন্ত্রণাধীন স্কুলগুলোতে নির্যাতনের শিকার হওয়াব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চান তিনি৷

রোমে ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পোপ৷ তখনই ‘গণহত্যা' শব্দটি উল্লেখ করেন তিনি৷ তার কথায়, ‘‘শিশুগুলোকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা, সংস্কৃতি বদলে দেয়া, ঐতিহ্যের ধারা পাল্টে দেয়া, জাতিগত পরিবর্তন করা, এগুলি আসলে সংস্কৃতির বদল৷''

তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ গণহত্যা একটা ‘টেকনিক্যাল ওয়ার্ড'৷ তবে আমি যা বর্ণনা করেছি, তা আসলে গণহত্যাই৷''

কানাডার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন ২০১৫ সালে জানায়, আদিবাসী শিশুদের জোর করে তাদের পরিবার, বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল৷ আবাসিক স্কুলে তাদের ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা' করা হয়েছিল৷

১৮ শতকের শেষ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত, ক্যানাডায় অন্তত ১৩৯টি স্কুল ছিল গির্জার নিয়ন্ত্রণে৷ প্রায় দেড় লাখ আদিবাসী শিশুকে এই স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিল সরকার৷ নিজেদের পরিবার, ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে শিশুদের মাসের পর মাস, এমনকি কয়েক বছর দূরে রাখা হতো৷ যৌন নির্যাতন এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগও রয়েছে গির্জার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে৷ সেই সময় হাজার হাজার শিশু অপুষ্টি, অবহেলাজনিত কারণ এবং রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়৷

ক্যানাডায় আদিবাসীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চান পোপ
ক্যানাডায় আদিবাসীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চান পোপছবি: Vatican press office/AFP

তবে ক্যানাডা সফরের সময় ‘গণহত্যা' শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপ৷ পরিবর্তে স্কুলগুলিতে ‘সাংস্কৃতিক বিনাশ'-এর জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন৷

অবসরের ইঙ্গিত

পোপ ফ্রান্সিস ক্যানাডা সফরকে তার ভগ্নস্বাস্থ্যের পরীক্ষা হিসাবেও দেখেছেন৷ রোমে ফেরার পথে তিনি স্বীকার করেন এভাবে আর সফর করতে পারবেন না৷

৮৫ বছর বয়সি পোপ হাঁটুর লিগামেন্টের সমস্যায় ভুগছেন৷ সফরের বেশিরভাগ সময় হুইলচেয়ার ব্যবহার করেছেন তিনি৷ ওয়াকারের সাহায্যও লেগেছে৷

যদিও আগে অবসর নেওয়ার কথা বলেননি পোপ৷ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পদত্যাগ করতে চাওয়ার মধ্যে কোনো ভুল নেই৷

তার কথায়, ‘‘এটি অদ্ভুত কোনো ঘটনা নয়৷ কোনো বিপর্যয় নয়৷ পোপ বদল করা যায়৷ আমি মনে করি এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে গির্জার সেবা করার জন্য আমাকে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে৷ এর ইতিবাচক দিকটাও ভাবতে হবে৷''

এই বছরের শুরুতে পোপ ফ্রান্সিসের ডান হাঁটুর লিগামেন্টে স্ট্রেইন বসানো হয়৷ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আফ্রিকায় একটি সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যেতে পারেননি৷

আরকেসি/এডিকে (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

নারীকে আঘাত করে ক্ষমা চাইলেন পোপ