ক্যানাডার আশ্রয় ব্যবস্থা নিয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন
৩ ডিসেম্বর ২০২৪আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এই বিজ্ঞাপন কর্মসূচি চলবে৷ খরচ হবে এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৬২ মার্কিন ডলার বা সোয়া দুই কোটি টাকা৷
স্প্যানিশ, উর্দু, ইউক্রেনীয়, হিন্দি ও তামিলসহ ১১টি ভাষায় বিজ্ঞাপনগুলো প্রচারিত হবে বলে দেশটির অভিবাসন বিভাগ রয়টার্সকে জানিয়েছে৷
অনলাইনে ‘ক্যানাডায় কীভাবে আশ্রয় পাওয়া যায়' বা ‘শরণার্থী ক্যানাডা' ইত্যাদি লিখলে ‘ক্যানাডার অ্যাসাইলাম সিস্টেম- অ্যাসাইলাম ফ্যাক্টস' নামে স্পন্সর করা তথ্য দেখানো হবে বলে অভিবাসন বিভাগ বলছে৷
বিজ্ঞাপনগুলোর একটি এমন, ‘‘ক্যানাডায় আশ্রয় পাওয়া সহজ নয়৷ নিয়মকানুন বেশ কঠিন৷ জীবন পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন, জেনে নিন৷''
পরিবর্তন
একটা সময় ক্যানাডা নিজেকে শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখাতে চেয়েছে৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে৷ ক্যানাডায় বাড়ির দাম বাড়ার জন্য অভিবাসীদের দায়ী করছেন অনেকে৷ এছাড়া জরিপে দেখা গেছে, ক্যানাডা খুব বেশি নতুন মানুষদের ঢুকতে দিচ্ছে- এমন ভাবা ক্যানাডীয়র সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷
ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটে বলেছিলেন, ‘‘যারা নিপীড়ন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছেন, ক্যানাডীয়রা তাদের স্বাগত জানাবে- আপনার বিশ্বাস যাই হোক না কেন৷ বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি৷ #WelcomeToCanada.''
এমন টুইটের প্রায় আট বছর পর ট্রুডো ১৭ নভেম্বর এক ভিডিওতে বলেন, খারাপ মানুষেরা তাদের নিজেদের স্বার্থে ক্যানাডার অভিবাসন ব্যবস্থাকে শোষণ করছে৷
গতমাসে ক্যানাডার সরকার স্থায়ী ও সাময়িক অভিবাসন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে৷
ক্যানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ জেমি চাই ইয়ুন লিউ বলেন, ক্যানাডায় আশ্রয় নিয়ে অনলাইনে অনেক ভুয়া তথ্য আছে৷ বিজ্ঞাপন কর্মসূচির মাধ্যমে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই কার্যকর হতে পারে৷ কিন্তু ‘‘বিজ্ঞাপনে যদি বলা হয়, ‘আপনি স্বাগত নন'... তাহলে সেটি ক্যানাডার অতীত মনোভাবের বিপরীত মনে হবে,'' বলেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)