ক্যাবল কার যখন বিকল্প গণপরিবহণ
ল্যাটিন অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে ক্যাবল কার শুধু গণপরিবণ হিসেবেই কাজ করছে না, যানজট কমিয়ে পরিবেশের উপকারও করছে৷ এমন ব্যবস্থা কি ঢাকা, দিল্লিতেও দরকার?
রিও ডি জানিরো, ব্রাজিল
রিও ডি জানিরোর এই ক্যাবল কারের নাম হচ্ছে ‘বন্ডিনিয়ো’, যা শহরের কেন্দ্র থেকে বিশ্বখ্যাত সুগারলোফ চূড়ায় পৌঁছে যায় তিন মিনিটের মধ্যে৷ প্রতিটি কারে ৬৫ জন যাত্রী চড়তে পারেন৷ সেই ১৯১২ সালে এই ক্যাবল কার চালু হয়৷ মূলত পর্যটকরা এটি ব্যবহার করেন৷
লা পাস, বলিভিয়া
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ক্যাবল কারের অবস্থান লা পাস৷ পুরো নেটওয়ার্কটি ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং প্রতিদিন প্রায় ১৫৯,০০০ মানুষ এটি ব্যবহার করেন৷ ২০১৪ সালে ক্যাবল কার নেটওয়ার্কটি চালু হয়৷ লা পাস শহরকে এল আল্টোর সঙ্গে যুক্ত করেছে এই নেটওয়ার্ক৷
ম্যারিডা, ভেনেজুয়েলা
এক ক্যাবল কারটি সাড়ে বারো কিলোমিটার লম্বা৷ এটি ম্যারিডা শহর থেকে শুরু হয়ে এসপেজো গিয়ে শেষ হয়েছে৷ অস্ট্রিয়ার একটি কোম্পানি ক্যাবল কারের নেটওয়ার্কটি তৈরি করেছে৷
ম্যাডেলিন, কলম্বিয়া
ম্যাডেলিনে ২০০৪ সালে ক্যাবল কার চালু হয়৷ প্রতিদিন ৩০ হাজারের মতো মানুষ দশ কিলোমিটারের মতো পথ পাড়ি দিতে নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করছেন৷ এটি দক্ষিণ অ্যামেরিকায় গণপরিবহণ হিসেবে ব্যবহৃত প্রথম ক্যাবল কার৷ আরো অনেক শহরে এমন গণপরিবহণ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছে এই ক্যাবল কার৷
সান্তিয়াগো দ্য চিলি, চিলি
সান্তিয়াগোতে ১৯৮০ সালে ক্যাবল কার চালু করা হয়৷ এটির ৪৭টি কেবিন রয়েছে৷ কারটি ২০ মিনিটে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা অতিক্রম করতে পারে৷ এমনকি সাইকেলসহ এটিতে চড়া যায়৷
কিয়োটো, ইকুয়েডর
পৃথিবীর অন্যতম উঁচুতে নির্মিত ক্যাবল কারগুলোর একটির অবস্থান ইকুয়েডরের কিয়োটোতে৷ ক্যাবল কারটিতে চড়ে শহর থেকে ক্রুজ লোমায় পৌঁছানো যায় ১৮ মিনিটে৷
জার্মানিতে গণপরিবহণ হিসেবে ক্যাবল কার কি চালু হবে?
জার্মানিতে পর্যটকদের জন্য একাধিক ক্যাবল কার থাকলেও শহরের ভেতর গণপরিবহণ হিসেবে ক্যাবল কার চালুর প্রকল্পে বাধার মুখে পড়েছে৷ হামবুর্গ শহরে এরকম এক প্রকল্প গণভোটে বাতিল হয়েছে৷ আর জার্মানির প্রাক্তন রাজধানী বন শহরে রাইন নদীর উপর দিয়ে ক্যাবল কার চালুর একটি পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে৷ তবে ইতোমধ্যে শহরবাসী এই প্রকল্পের বিরোধিতা শুরু করেছে৷