অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন ট্রাম্প
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬এই নিয়ে টানা তিনটি ককাস, অর্থাৎ প্রাক নির্বাচনি ভোটে জয় পেলেন ট্রাম্প৷ প্রথমে নিউ হ্যাম্পশায়ার, তারপর সাউথ ক্যারোলাইনা এবং মঙ্গলবার নেভাডা অঙ্গরাজ্যে দলীয় প্রতিপক্ষদের হারালেন তিনি৷ স্বাভাবিক কারণেই ট্রাম্প এখন আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী, আরো বেশি আনন্দিত৷
নেভাডার জয়ের প্রতিক্রিয়াতেও ছিল সেই আনন্দের আভাস৷ সমালোচকদের এক হাত নেয়ার সুযোগটাও তিনি ছাড়েননি৷ নিজস্ব ভঙ্গিতে জয়োল্লাস প্রকাশ করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘সুতরাং আমরা ইভানজেলিকালদের ভোট পেয়ে জিতলাম, তরুণদের ভোটে জিতলাম, উচ্চ শিক্ষিতদের ভোটে জিতলাম, স্বল্প শিক্ষিতদের ভোটেও জিতলাম৷ আমি স্বল্প শিক্ষিতদের ভালোবাসি৷'' তাঁর কথায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগানোর বিষয়টি উঠে এসেছে এভাবে, ‘‘পণ্ডিতদের কথা শুনে থাকলে আপনারা অবশ্যই জানেন, আমরা যে খুব একটা সাফল্য পাবো তা তাঁরা আশা করেননি৷ কিন্তু এখন আমরা জিতছি, জিতছি এবং জিততে জিততে সারা দেশটাকেই জিতে নিচ্ছি৷ খুব শিগগিরই আমাদের দেশও জয়, জয় এবং জয়ই পেতে শুরু করবে৷''
নিউ হ্যাম্পশায়ার, সাউথ ক্যারোলাইনা এবং নেভাডায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জয় তুলে আনলেন ট্রাম্প৷ নিউ হ্যাম্পশায়ারের অন্তত এক চতুর্থাংশ ভোটার ‘উদারপন্থি' বলে ধারণা করা হয়, সাউথ ক্যারোলাইনার অন্তত এক তৃতীয়াংশ ভোটার ইভানজেলিকাল খ্রিস্টান আর নেভাডার অধিবাসীদের ১৫ শতাংশই অ-শ্বেতাঙ্গ৷ তাই বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছিলেন, এই তিন এলাকায় ‘কট্টরপন্থি' ট্রাম্পের জয় পেতে কষ্ট হবে৷ প্রাক-নির্বাচনি ভোটের ফলাফলে এ পর্যন্ত অবশ্য তা ভুলই প্রমাণিত হয়েছে৷
নেভাডায় ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রুবিও ও ক্রুজ পেয়েছেন যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮৫ ও ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট৷ এই পর্বে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিলেন জন কেইসিক ও বেন কারসন৷ তবে ভোট গ্রহণে কিছু অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে৷
নেভাডার প্রাক-নির্বাচনি ভোটের মাধ্যমে শেষ হলো রিপাবলিকান দলের বাছাই নির্বাচনের প্রথম পর্ব৷ আগামী ১ মার্চ ‘সুপার টিউসডে'তে একইসঙ্গে ১২টি অঙ্গরাজ্যে ভোট হবে৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, এপি, রয়টার্স)