ক্রিসমাস উপলক্ষে সেজে উঠেছে কলকাতা, কেকের দোকানে লম্বা লাইন
বড়দিনের কলকাতা মানে আলোকমালায় সজ্জিত রাস্তা, কেকের দোকানে লম্বা লাইন, সান্তা ক্লজ, সুসজ্জিত দোকান এবং মানুষের ঢল।
মায়াবী পার্ক স্ট্রিট
কলকাতায় যারা থাকেন, তারা বড়দিনে বা তার আগে-পরে একবার পার্ক স্ট্রিটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাবেক এই সাহেব পাড়া হলো কলকাতার ক্রিসমাসের প্রাণকেন্দ্র। আলোর মায়াবী সাজ ছাড়াও থাকে গান, বাজনা, খাবার। বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারা হন কলকাতার মানুষ।
আলোয় আলোয়
বড়দিনের অনেক আগে থেকেই পার্ক স্ট্রিটে এই বাহারি আলো জ্বলে। উৎসবের আবহ তৈরি হয়। এই আলোয় সজ্জিত পার্ক স্ট্রিট দেখতে লাখো মানুষ আসেন। যত রাত বাড়ে ততই এই আলোয় সজ্জিত পার্ক স্ট্রিটের আকর্ষণ বাড়ে।
বো ব্যারাকের আলোর মালা
তবে শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়, কলকাতার বিভিন্ন এলাকা আলোর সাজে সেজে ওঠে। যার মধ্যে অন্যতম হলো বো ব্যারাক। ক্রিসমাসের সময় এখানকার আকর্ষণও কম নয়।
খাদ্যরসিকদের জন্য
বো ব্যারাক খাদ্যরসিকদের টানে। কারণ, বড়দিনের সময় এখানে সুখাদ্যের সম্ভাব নিয়ে বসেন মানুষ। কেক তো থাকেই, সেই সঙ্গে থাকে আরো নানা ধরনের খাবার। তাই প্রতিবছর বো ব্যারাকে মানুষের ঢল নামে।
তৈরি হচ্ছে সান্তা ক্লজ
ক্রিসমাস আসার আগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রামবাগানের শিল্পীরা। সান্তা ক্লজ বানাতে। নানা আকারের সান্তা ক্লজ বানান তারা। এখানে যেমন থার্মোকলের সান্তা বানানো হয়েছে। এরপর তাতে রং পড়বে।
সান্তায় রং
সান্তা ক্লজ বানিয়ে তাতে রং লাগাচ্ছেন রামবাগানের এক শিল্পী। এই সান্তাই শোভা পাবে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়িতে। সান্তা ছাড়া তো ক্রিসমাস হয় না।
নিউ মার্কেটের দোকানে
শুধু তো সান্তা নয়, ক্রিসমাসে বাড়ি সাজানোর হরেক সম্ভার নিয়ে প্রস্তুত থাকে নিউ মার্কেটের দোকানগুলি। এই উৎসবে মেতে উঠতে কলকাতার মানুষও তাদের বাড়ি সাজান। চলে আসে ক্রিসমাস ট্রি, মোমবাতি, রঙিন বল-সহ নানা ধরনের গৃহসজ্জার জিনিস।
ক্রিসমাস ট্রি ও টুপি
বড়দিন পালন করতে গেলে তো ক্রিসমাস ট্রি ও টুপিও চাই। নিউ মার্কেটের দোকানে তাই ঢালাও বিক্রি হচ্ছে এই দুইটি জিনিস।
কেকের আঁতুড়ঘরে
ক্রিসমাসের দিন তো কেক খেতেই হবে। তার প্রস্তুতি চলে দীর্ঘদিন আগে থেকে। কলকাতার বেকারিগুলি তাই বছরের অন্যতম ব্যস্ত সময় কাটায়। এই সময় কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশের অন্য জায়গায় যায় কলকাতায় তৈরি ক্রিসমাস কেক। কলকাতায় বড়ুয়ার কেকের হেঁসেলে ঢুকে পড়লো ডিডাব্লিউ।
কেক তৈরি
ওভেন থেকে সদ্য বের করে আনা কেকের চেহারা, গন্ধ, স্বাদই আলাদা। কলকাতার প্রতিটি বেকারির কাছে বা কেক পেস্ট্রির দোকান এখন এই সৌরভে মাতোয়ারা। প্লাম কেক থেকে শুরু করে হরেক রকম কেকের চাহিদা তুঙ্গে।
নাহুমের দোকানে লম্বা লাইন
প্রতিবছরের মতো এবারেও নিউমার্কেটে নাহুমের দোকানে কেক কেনার জন্য লম্বা লাইন ছিল। কলকাতার সবচেয়ে পুরনো কেক বিক্রেতার মধ্যে অন্যতম নাহুমের দোকান ১৯০২ সালে তৈরি হয়। নিউ মার্কেটে বর্তমান জায়গায় দোকানটি আছে ১৯১৬ সাল থেকে। কলকাতার বড়দিনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে নাহুমের কেকও।