1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবনে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ অক্টোবর ২০১৫

মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের পশুর নদীতে কয়লা বোঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেলেও তা উদ্ধারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় কয়লার বিষাক্ত কেমিকেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/1GwXq
Bildergalerie Bangladesch Sundarbans Mangrovenwälder
ছবি: DW/M, Mamun

[No title]

এতে সুন্দরবন ও তার আশাপাশের এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে৷ এনিয়ে গত একবছরেরও কমসময়ে তেল এবং কয়লাভর্তি চারটি জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটল৷

৫১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি জিআর রাজ নামের জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার পথে মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের পশুর নদীতে ডুবে যায়৷ ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজটি এসেছে৷ জাহাজ ডুবির পর বন বিভাগের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে৷

তবে উদ্ধারকাজের কোনো খবর নেই৷ ডুবে যাওয়া জাহাজটি বর্তমানে ১৪ ফুট পানির নীচে অবস্থান করছে৷ জাহাজটির মালিক দিল খান বুধবার জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেবে৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘‘আমি নিজে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি৷ বন্দরের নিয়ম অনুয়ায়ী ডুবে যাওয়া জাহাজ তার মালিককেই উদ্ধারের সুযোগ দেওয়া হয়৷ সে হিসাবে ডুবে যাওয়া জাহাজটি তুলে নেওয়ার জন্য তাদেরকেই সুযোগ দেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে তারা ৩০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন৷''

মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফুর রহমান জানান, ‘‘বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়েরের পর কার্গো মাস্টার বুলু কাজীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷''

এদিকে এখনো উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা৷ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাপা'র মুখপাত্র ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলকে জানান, ‘‘কয়লাবাহী জাহাজ ডুবি সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে৷ কয়লার সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি সুন্দরবনের পানি, জীব ও বায়ুমন্ডলকে দূষিত করবে৷ আর ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস সুন্দরবনের শ্বাসমূল উদ্ভিদ ও মাছের প্রজননের ক্ষতি করবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘একের পর এক তেল এবং কয়লাবাহী জাহাজডুবি এবং তাদের চলাচল সুন্দরবনকে বিপন্ন করে তুলছে৷ তাই আমরা ওই এলাকায় শিল্প স্থাপন এবং জাহাজ চলাচলের বিরোধিতা করে আসছি৷ সরকার কান দিচ্ছেনা৷ তারা যেন সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে চায়৷''

এর আগে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার এমভি ওটি সাউদার্ন স্টার সেভেন ডুবে যায়৷ চলতি বছরের ৩ মে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীতে ডুবে যায় সার বোঝাই কার্গো জাহাজ এমবি জাবালে নূর৷ ১১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের শরণখোলার রেঞ্জের ভোলা নদীতে ডুবতে-ডুবতে অন্য কার্গোর সহায়তায় মংলায় পৌছাতে সক্ষম হয় অন্য একটি কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ৷

আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচের মন্তব্যের ঘরে লিখুন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য