খেলার ইতিহাসের সেরা কিছু ম্যাচ
চলুন দেখে নেয়া যাক, ফুটবল, টেনিস, বক্সিং থেকে শুরু করে আরো কিছু জনপ্রিয় খেলার ইতিহাস-সেরা কিছু লড়াই৷
দাবায় সেরা
এতদিন অন্য অনেক ম্যাচ নিয়েই আলোচনা ছিল৷ তবে ২০১৬ সালে দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের পর থেকে ম্যাগনাস কার্লসেন আর সের্গেই কার্জাকিনের ম্যাচটিকে স্মরণকালের সব সেরা ম্যাচ থেকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে৷ নরওয়ের কার্লসেন শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারে ৩-১-এ হারিয়েছেন রাশিয়ার কার্জাকিনকে৷ একসময় মনে হচ্ছিল, কার্লসেন হয়ত অঘটন ঘটিয়েই দেবেন৷
বায়ার্নের দুর্ভাগ্যের সেই ম্যাচ
১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল৷ মুখোমুখি বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ ম্যাচ প্রায় জিতেই গিয়েছিল বায়ার্ন৷ ইনজুরি টাইমে ১-০ গোলে এগিয়েছিল তারা৷ কিন্তু তখনই একটা কর্নার পেয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরান টেডি শেরিংহ্যাম৷ তারপর আরেকটি কর্নার এবং ওলে গানার সোলকায়ারের গোল৷ বায়ার্নের হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ম্যানইউ৷
টেনিসের ‘এপিক’ ম্যাচ
টেনিসের ‘এপিক’ ম্যাচ বললে সবার আগে যে ম্যাচটির কথা মনে পড়ে সেটিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা দুই খেলোয়াড় রজার ফেদারার এবং রাফায়েল নাদালের সেই উইম্বলডনের ম্যাচটির কথা৷ সেটাও ফাইনাল৷ ৬-৪, ৬-৪-এ প্রথম দুই সেট জিতে ম্যাচ জয়ের পথে ছুটে চলছিলেন ফেদারার৷ কিন্তু তারপরই ঘুরে দাঁড়ালেন নাদাল৷ ৬-৭, ৬-৭ এবং শেষে ৯-৭-এর এক ম্যারাথন সেট জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন৷
ফর্মুলা ওয়ানে শুমাখারের ‘চালাকি’
১৯৯৪ সালের অ্যাডিলেড গ্রঁ প্রি-র ফাইনাল৷ সেখানে জার্মান কিংবদন্তি মিশায়েল শুমাখার এবং বৃটেনের ড্যামন হিলের জম্পেশ লড়াই হয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবে রেস শেষ হলে জিতে যেতেন হিল৷ কিন্তু শেষ দিকে হঠাৎ নিজের গাড়িটা হিলের গাড়ির সামনে নিয়ে গেলেন শুমাখার৷ সঙ্গে সঙ্গেই দুই গাড়ির সংঘর্ষ৷ রেস সেখানেই বন্ধ করতে হলো দুজনকে৷ মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন শুমাখার৷
৫৬ বছর আগে...
১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকের সেই লড়াইটা হয়েছিল পুরুষদের ৪০০ মিটার দৌড়ে৷ শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওটিস ডেভিসের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন জার্মানির কার্ল কাউফম্যান৷ যখন দেখলেন ডেভিস ফিনিশিং লাইন পেরিয়ে যাচ্ছেন তখনই ডাইভ দিয়ে আগে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেন কাউফম্যান৷ একেবারে এক সময়েই দৌড় শেষ হলো দু’জনের৷ কিন্তু ফটোফিনিশে সোনা জিতলেন ডেভিস৷
বক্সিংয়ের ‘থ্রিলা ইন ম্যানিলা’
বক্সিংয়ের কোনো সাধারন পাঠকও ১৯৭৫ সালের মোহাম্মদ আলী বনাম জো ফ্রেজিয়ারের সেই স্নায়ুক্ষয়ী বাউটটির কথা জানেন৷ নিজেদের আগের দুই ম্যাচে দু’জনেই একটি করে জিতেছেন৷ ফলে সেই ম্যাচটি ছিল ফাইনালের মতো৷ ভয়ংকর লড়াই হয়েছিল সেটি৷ শেষ পর্যন্ত আলী জিতেছিলেন পয়েন্টের ব্যবধানে৷
টেনিসের আরেক ম্যাচ
১৯৮৭ সাল৷ ডেভিস কাপের ম্যাচ৷ বদরাগের জন্য পরিচিত জন ম্যাকেনরোর প্রতিপক্ষ জার্মানির বরিস বেকার৷ পুরো ম্যাচ জুড়ে ম্যাকেনরো বেকারের উদ্দেশ্যে বকবকই করে গেলেন৷ ঠান্ডা মাথায় জবাব দিচ্ছিলেন বেকার৷ সমানে সমানে লড়াই৷ লড়াই চলল ৬ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ধরে এবং বেকার জিতলেন ৪-৬. ১৫-১৩, ৮-১০, ৬-২ এবং ৬-২ গেমে৷