গবেষকেরা বলছেন লকডাউন প্রাণ বাঁচাচ্ছে
১ এপ্রিল ২০২০বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যারা করোনা সংকটের কারণে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে, তাদের মনে প্রশ্ন জাগছে – লকডাউনের ফলে কি আদৌ কোনো লাভ হচ্ছে? নাকি ঘর থেকে বের হয়ে সাবধানে থাকলেই চলতো? লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষণা অনুযায়ী লকডাউনের মাধ্যমে সত্যি অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে৷ মার্চের শেষ পর্যন্ত ইউরোপের ১১টি দেশে ৫৯,০০০ মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷ তাছাড়া লকডাউনের কারণে ভাইরাসের প্রসার নাটকীয় মাত্রায় কমে গেছে৷ এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামোর উপর চাপ সত্ত্বেও লকডাউনের ফলে আখেরে উপকার হচ্ছে৷
ইউরোপে ইটালি ও স্পেনের মতো করোনা সংকটে জর্জরিত দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গবেষকরা দুই পরিস্থিতির মধ্যে তুলনা করেছেন৷ বর্তমান পরিস্থিতি এবং স্কুল-কলেজ, বড় অনুষ্ঠান ইত্যাদি বন্ধ না করলে কী হতো, সেই অবস্থার সম্ভাব্য পরিণাম খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ গবেষণা অনুযায়ী স্পেনে প্রায় ১৬,০০০ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে৷ ফ্রান্সে সেই সংখ্যা আড়াই হাজার৷ বেলজিয়ামে ৫৬০, জার্মানিতে ৫৫০, ব্রিটেনে ৩৭০ জন মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছেন৷
গবেষণার রিপোর্টের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার একেবারে কমে আসা পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ এভাবে আরও মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ বিশ্বের বাকি অংশে লকডাউনের ফলে কত মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় নি৷
লন্ডনের গবেষকদের মতে, করোনা সংকটের ক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা সরকারি হিসেবের তুলনায় বাস্তবে অনেক বেশি হতে পারে৷ তাঁদের ধারণা, ২৮শে মার্চ পর্যন্ত সম্ভবত জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের শিকার হয়েছে৷ ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সম্পর্কে পরিসংখ্যান বর্তমানে নিখুঁত নয় বলে ধরেন নেওয়া হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও লকডাউনের ইতিবাচক প্রভাব খাটো করে দেখা যায় না৷
এসবি/কেএম (এএফপি/রয়টার্স)