গরমে কেমন আছে চিড়িয়াখানার প্রাণীরা?
প্রবল দাবদাহে অতিষ্ঠ ইউরোপের মানুষ৷ কিন্তু শুধু মানুষ নয়, গরমে নাজেহাল চারপেয়েরাও৷
হাতির জলকেলি
লাইপৎজিশ শহরের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানায় রয়েছে ‘বেন লং’ নামের এই হাতি৷ গরম আবহাওয়ায় সেও বাধ্য হয়েছে জলে নেমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে৷
আইসক্রিম কি শুধু মানুষের জন্য?
জার্মানিতে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে চলতি সপ্তাহে৷ ফলে অন্য সবার মতো মাগডেবুর্গ চিড়িয়াখানার বাসিন্দা এই শিম্পাঞ্জিও বাধ্য হয়েছে আইসক্রিম খেয়ে নিজেকে ঠাণ্ডা রাখতে৷
আহ! কি শান্তি!
গেলসেনকিরশেন চিড়িয়াখানর ‘নানুক’ নামের পোলার বিয়ার গরমকাল আসলেই খোঁজ করে তার প্রিয় মাছ দেওয়া আইসক্রিমের৷ আইসক্রিম খাওয়া হয়ে গেলে এভাবেই জলে সাঁতার কাটতে দেখা যায় নানুককে৷
শরীরের ভেতরেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ!
পেঙ্গুইন মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলের বাসিন্দা৷ কিন্তু গরম আবহাওয়ার সাথেও মানিয়ে নিতে পারে তারা ভালোই৷ কারণ, পেঙ্গুইনদের শরীর আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভেতরের তাপমাত্রা৷ পলে, ডুইসবুর্গ চিড়িয়াখানার রোদে মোটেও কষ্ট হয়না তাদের৷
বরফের ঘরে বাঘ
সিংহ বা বেড়াল এমনিতে সাঁতার কাটতে পছন্দ করেনা৷ কিন্তু বাঘ এই অভ্যাসের একদম উল্টো৷ ডুইসবুর্গ চিড়িয়াখানার ‘ডাশা’র জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷ সাঁতার কাটার পাশাপাশি তার জন্য বরাদ্দ আছে সম্পূর্ণ বরফের তৈরি একটি ঘর, যেখানে গ্রীষ্মকালে সময় কাটায় সে৷
গরমকালে পাখিও অলস
ডুইসবুর্গ চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণীয় বাসিন্দা এই ফ্ল্যামিঙ্গোটি৷ গরমের চোটে যখন কোনো প্রাণী জলে নামে, বা আইসক্রিমে মগ্ন, তখন সে একেবারেই বিপরীত৷ চুপচাপ ছায়ায় বসেই গ্রীষ্মকাল কাটে তার৷