গাজায় 'প্রয়োজনে' আরো হামলা করবে ইসরায়েল
৩১ মার্চ ২০১৮ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোনেন ম্যানেলিস শনিবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন৷ তিনি বলেন, শুধু সীমান্তে নয়, বাড়াবাড়ি করলে ‘অন্যান্য জায়গায়' গিয়েও খুঁজে খুঁজে সন্ত্রাসীদের মারা হবে৷
এর আগে হাজারো ফিলিস্তিনি গাজা সীমান্তে বিক্ষোভে জড়ো হলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷ ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এতটা রক্ত ঝরল ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে৷
এদিকে, শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঘটনায় একটি ‘স্বাধীন ও স্বচ্ছ' তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন৷ গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হবার আশঙ্কা থেকে এ আহ্বান জানান তিনি৷ নিরাপত্তা পরিষদে ঘটনার পর তাৎক্ষণিক শুনানি হয়৷
গুতেরেসের এক মুখপাত্র জানান, মহাসচিব বিশ্বকে সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া পুনঃস্থাপন করার জন্য তৈরি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷
কুয়েতের আহ্বানেই জরুরি সভা ডাকা হয়৷ কিন্তু সেখানে ইসরাইলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেননি৷ কোনো কোনো দেশ সময় সংক্রান্ত জটিলতায় জাতিসংঘে তাদের প্রধান দূতের বদলে সহকারীদের পাঠিয়েছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেন, ‘‘কাউন্সিলে ভারসাম্য রাখা উচিত৷ সব পক্ষের উপস্থিতি থাকলেই ভালো হতো৷''
ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই নাজুক৷ গাজা উপত্যকায় নতুন করে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে৷''
এদিকে, ইসরায়েল ঘটনার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে৷ তারা একটি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেছে যে, যখন ইহুদিরা সবাই ছুটি কাটাতে ব্যস্ত, তখন হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে৷
ঘটনার শুরু যখন গত শুক্রবার হাজারো ফিলিস্তিনি গাজা সীমান্তে উপস্থিত হন৷ তাদের দাবি ছিল, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল গঠিত হবার সময় যুদ্ধে যেসব ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছেন, তাদের ফেরত আসতে দিতে হবে৷
কিন্তু ইসরায়েল বলছে, এই বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে হামাসের সদস্যরা ইহুদি রাষ্ট্রটিতে প্রবেশ করতে চেয়েছে এবং নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছে৷
তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর ড্রোন ব্যবহার করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে৷ এছাড়া সেনারা গুলিবর্ষণ করেছে৷ এই গুলিবর্ষণে ১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৪শ' জন৷
এছাড়া হামাসের তিনটি ঘাঁটিতে ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা করা হয়েছে৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি)