গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের হামলা
৩০ জুলাই ২০১৪বুধবার ভোরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার একটি স্কুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ স্কুল ভবনটিতে নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে আসা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল৷ অস্থায়ী এ আশ্রয় শিবিরে বোমা হামলা চালানোর আগে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী অনেকক্ষণ ধরে সে এলাকায় কামানের গোলা ছোড়ে৷ তারপর বোমার আঘাতে ধ্বংস করা হয় স্কুলটি৷ এ হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছে৷
ইসরায়েলের অভিযোগ, গাজার স্কুলগুলোকে হামাস রকেট রাখার গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে৷ এ সন্দেহে গত কয়েকদিনে কয়েকটি স্কুলে বোমা হামলা চালানো হলো৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার জাবালিয়ার এক স্কুল বোমা হামলায় ধসে পড়ায় ২৮ জন নিহত হয়৷ বুধবার আবার গাজার একটি স্কুলে হামলা৷ ইসরায়েল আর হামাসের চলমান যুদ্ধে আশ্রয় শিবিরগুলোতেও ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই৷
এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন আরো প্রকট হয়ে উঠেছে৷ বুধবার যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফোর্স, অর্থাৎ পিএলও এবং ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ নেতাদের কায়রোয় যাওয়ার কথা৷ অবশ্য তাঁদের এ সফরের আগেই যু্দ্ধবিরতি প্রস্তাবের সাফল্য নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে৷ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে৷ টেলিফোনে কথা বলার সময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সফল করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেরি৷ নেতানিয়াহুর শর্ত – যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ইসরায়েলকে নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করার অনুমতি থাকতে হবে৷
অন্যদিকে হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল মানবিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি৷ এ অঙ্গীকার অনুযায়ী তারা কাজ করে কিনা আমরা তা দেখবো৷ শিশুদের হত্যা করে যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমি দখল চালানো হবে ততক্ষণ আমরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেব না৷''
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)