1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন স্থল-নিম্নচাপ

২৫ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় আর তেজকটালের যৌথ দাপটে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থলভাগে প্রবেশ করেই শক্তি হারিয়েছে সিত্রাং।

https://p.dw.com/p/4IdEX
সিত্রাং
ছবি: Mohibbullah Mohib

৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম উপকূল অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে সিত্রাং। প্রায় সারা রাত ধরেই এর দাপট টের পেয়েছেন উপকূলের মানুষ। ঝড়ের তীব্রতা সাংঘাতিক না হলেও অমাবস্যায় তেজকটাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কয়েকফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ার হয়েছে। যার জেরে ভেসেছে উপকূল। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ সকাল পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও সব মিলিয়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় তিন, ভোলায় দুই, বরগুনায় এক, নাড়াইল এবং সিরাজগঞ্জে যথাক্রমে একজন করে ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

ঝড় এবং জলোচ্ছাসের কারণে মাঠের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু জায়গায় বাড়ি ভেঙেছে, রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ-ফরিদপুরের মহাসড়ক গাছ পড়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেছিল। সকালে তা আবার খুলে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছে। আপাতত কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট হয়ে নিম্নচাপটি আসামের দিকে ঘুরে যেতে পারে। ফলে এর প্রভাবে এই গোটা অঞ্চলেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী দুইদিনে নিম্নচাপটি ক্রমশ দুর্বল হবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস।

ঘূর্ণিঝড় আসার আগে মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদসংকেত জারি করা হয়েছিল। ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করার পর তা তিনে নামিয়ে আনা হয়।

উপকূল বিদ্যুৎহীন

ঝড় আসবে বলে উপকূলের বেশ কিছু অঞ্চলে সকাল থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলার বিদ্যুৎ শতভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড়ের কারণে বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরলেও, সর্বত্র এখনো বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় বহু জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।

আবহাওয়া দপ্তরের প্রাথমিক পূর্বাভাস ছিল সাইক্লোনটি মঙ্গলবার সকালে বরিশাল এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। যে কারণে, সোমবার সকাল থেকে উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে ছয় লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছেন।

এসজি/জিএইচ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)