চরম মন্দা এড়াতে ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা
১৭ জুলাই ২০২০করোনা সংকটের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে ভারচুয়াল স্তরে আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা আবার সশরীরে মিলিত হচ্ছেন৷ শুক্রবার ব্রাসেলসে ২৭-টি সদস্য দেশের সরকার প্রধান এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷ করোনা সংকটে বিপর্যস্ত ইউরোপের অর্থনীতিকেচাঙ্গা করতে প্রায় ৭৫,০০০ কোটি ইউরো অঙ্কের প্রস্তাবিত কর্মসূচি সম্পর্কে এখনো তাঁরা ঐকমত্যে আসতে পারেননি৷ শুক্রবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা সফল করার জন্য শীর্ষ নেতাদের উপর চাপ বাড়ছে৷
ইইউ নেতারা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন৷ এই রাষ্ট্রজোট গঠিত হবার পর এত বড় মন্দার আশঙ্কা দেখা যায়নি৷ সেই বিপদ এড়াতে ইউরোপীয় স্তরে জোরালো উদ্যোগ সম্পর্কেও তাঁদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই৷ কিন্তু খুঁটিনাটী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ কাটছে না৷ তহবিলের অঙ্ক থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী ইইউ বাজেটের মধ্যে সেই পুনরুদ্ধার কর্মসূচি অন্তর্গত করার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জন করা যাচ্ছে না৷ ঋণভার ভাগ করে নেবার বিষয়ে নীতিগতভাবে মৌলিক পার্থক্য থেকে গেছে৷
এই অবস্থায় আপোশ প্রস্তাব হিসেবে ৭৫,০০০ কোটি ইউরো দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব এনেছেন ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল৷ ৫০,০০০ কোটি ইউরো ঋণ এবং ২৫,০০০ কোটি ইউরো অনুদান হিসেবে বণ্টনের মাধ্যমে সংশয় দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি৷ বিশেষ করে ‘ফ্রুগাল ফোর' বলে পরিচিত নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, সুইডেন ও ডেনমার্ক অনুদানের অঙ্ক যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ দীর্ঘমেয়াদী ইইউ বাজেটের অঙ্কও সামান্য কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মিশেল৷
শনিবারের মধ্যে ইইউ নেতারা পুনরুদ্ধার কর্মসূচি সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছবেন, এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়া সত্ত্বেও নতুন করে ব্যর্থতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷ সম্মেলন রবিবার পর্যন্তও গড়াতে পারে৷ তাতেও লাভ না হলে চলতি মাসেই তৃতীয় প্রচেষ্টার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে৷ তখন গ্রীষ্মকালীন বিরতির আগে ইইউ নেতারা আরেকটি সম্মেলনে এই প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারেন৷
ঐকমত্য অর্জনের ক্ষেত্রে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলর বিশেষ ভূমিকা প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷ চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি ইইউ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে৷ শুক্রবারই ম্যার্কেল ৬৬ বছরের জন্মদিন পালন করছেন৷ করোনা সংকটের সময়ে তাঁর নেতৃত্বের ফলে দেশে-বিদেশে তাঁর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে৷ ম্যার্কেল ‘ফ্রুগাল ফোর' গোষ্ঠীর উপর প্রভাব বিস্তার করতে তাদের সম্মতি আদায় করতে পারবেন, অনেক নেতা এমন আশা করছেন৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)