চরম শীতে গরম স্নান
১৮ জানুয়ারি ২০১৮রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেই দেখানো হয়েছে, ওইমিয়াকন গ্রামে কিভাবে থার্মোমিটারের সব দাগ ছাড়িয়ে অতলে চলে যাচ্ছে – থার্মোমিটারেরই বা দোষ কি, তার মাপার ক্ষমতা যে মাইনাস ৫০ ডিগ্রিতেই শেষ৷
ভাবুন, এ এমন শীত যে, ইয়াকুশাতেও সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; পুলিশ বাবা-মায়েদের বলেছে, ছেলেপিলেদের বাড়ির ভিতরে রাখতে৷ তবে যে শীতে থার্মোমিটার জমে যায়, সে শীতে কি আর পাড়ার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া যাবে?
সপ্তাহান্তেই তো ইয়াকুশায় দু'জন মানুষ তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার দরুণ পায়ে হেঁটে গ্রামে ফিরছিলেন – কিন্তু পৌঁছতে পারেননি৷ তার আগেই শীতে ‘জমে গিয়ে' প্রাণ হারিয়েছেন৷ আবার এ-ও সত্যি যে, ওই দু'জনের সঙ্গে যে আরো তিনজন ছিলেন, আরো বেশি গরম জামাকাপড় পরা থাকায়, তাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন৷
রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৩,৩০০ মাইল পূর্বে ইয়াকুশিয়ায় লাখ দশেক মানুষের বাস ও তারা সবাই সাইবেরিয়ার শীতে অভ্যস্ত৷ চলতি শৈত্য প্রবাহ (!) সম্পর্কে ইয়াকুশিয়ার গভর্নর বলেছেন, কুছ পরোয়া নেহি, সব বাড়িতে আর অফিস-কাছারিতে সেন্ট্রাল হিটিং আছে, বাড়তি জেনারেটর আছে৷
তবে এই অবস্থার মধ্যে চীনের কয়েকজন পর্যটক একটু বেশি সাহস দেখিয়ে ফেলেছেন৷ খালি গায়ে খোলা জায়গায় স্নান করছিলেন তারা৷ তবে পানিটা ছিল গরম৷ তাই ইন্ডেপেনডেন্ট এর এই ভিডিও প্রতিবেদনটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি৷
পুরো ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে৷
এসি/এসিবি (এপি)