চলে গেলেন কবীর চৌধুরী
১৩ ডিসেম্বর ২০১১কবীর চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশে শিক্ষা এবং সাস্কৃতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে৷
মৃত্যুকে নিয়ে ভাবতেন না জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী৷ মৃত্যুর কিছু দিন আগে তিনি মৃত্যু নিয়ে এমন চিন্তার কথাই জানিয়েছিলেন৷ এই বয়সেও কাজই তাঁর কাছে ছিল মুখ্য৷ মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে শাহীন কবিরসহ স্বজনরাও সেকথাই জানালেন৷
মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাসায় ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী পরিষেদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ৷ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানালেন, শিক্ষানীতি প্রণয়নে তাঁর ভূমিকার কথা৷
আর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলন গড়ে তোলায় তিনি ছিলেন পুরোভাগে৷
সাহিত্যিক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্বিদ্যালেয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন৷ ১৯৯৮ সালে তাঁকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান দেয়া হয়৷ ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৯১ সালে একুশে পদক এবং ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি পদক পান তিনি৷ লেখক শাহরিয়ার কবির বলেন, সব আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন বাতিঘর৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার কাজে তিনি ছিলেন আগুয়ান৷
অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন৷ তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে স্বর্ণপদকসহ স্নাতক এবং স্নতকোত্তর ডিগ্রি নেন৷ তিনি দেড়শ'রও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক