চাঁদাবাজির মামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড
৪ অক্টোবর ২০২২দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুলনা যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান সোমবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন৷ সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিফাত উল্লাহ , এএসআই মিরান উদ্দিন এবং খুলনার প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম৷
খুলনা সদর থানা এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় কর্মরত পুলিশের এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাদেরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছিল৷ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আল আমিন উকিল প্রথম আলোকে জানান, চারজন আসামির মধ্যে তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাজা দিয়েছে আদালত৷ রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ এক বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত তাদেরকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে৷ অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে খুলনার আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য৷ পরে ২৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মুক্তি পান সেই ব্যবসায়ী৷ পরে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানা–পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে৷ তার তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরানকেও৷ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা করেন৷
এফএস/কেএম (প্রথম আলো)