1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে অলিম্পিক উপলক্ষে দ্রুতগতির ট্রেন

রিয়াজুল ইসলাম২২ জুলাই ২০০৮

বেইজিং অলিম্পিক উপলক্ষে চীন সরকার নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে৷ এ নতুন ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে বেইজিং ও তার পাশের তিয়ানজিন শহরে খুব অল্প সময়ে আসা যাওয়া করতে পারবে অলিম্পিক উপলক্ষে আগত দর্শকরা৷

https://p.dw.com/p/Ehcj
এই ট্রেনের গতি প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ সাড়ে তিনশ কিলোমিটার বা ২২০ মাইলছবি: AP

বেইজিং এর নতুন চালু হতে যাওয়া এ ট্রেনে করে পাশের তিয়ানজিন শহরে যেতে সময় লাগবে মাত্র আধ ঘন্টা৷ বর্তমানে যে ট্রেন রয়েছে তাতে এ সময় লাগে দেড় ঘন্টা৷ বেইজিং অলিম্পিকের ফুটবল ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে তিয়ানজিন শহরে ৷ তাই আগত দর্শকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য যাতে আরও কম সময় লাগে সেজন্য এ নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে৷

BdT China Olympia Fahrverbote gegen Luftverschmutzung
রাস্তায় গাড়ী চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে চীন সরকারছবি: AP

আগামী শুক্রবার এ ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে৷ এ ট্রেনের গতি হবে প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ সাড়ে তিনশ কিলোমিটার বা ২২০ মাইল৷ একসঙ্গে ছয়শ যাত্রী বহন করতে পারবে এ ট্রেন৷ বেইজিং সাউথ রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন ট্রেন ছাড়বে৷

চীনা কর্মকর্তাদের দাবী বেইজিংয়ের এ রেলওয়ে স্টেশনটি এশিয়ার মধ্যে সবচে বড় রেল স্টেশন যাতে রয়েছে ট্রেন থামার ২৪ টি প্লাটফরম৷ নবনির্মিত এ স্টেশনের ছাদে রয়েছে সৌরশক্তি উত্পাদনের জন্য বিশাল সোলার প্যানেল৷ এমনকি স্টেশনটিতে একটি এয়ারপোর্ট নির্মাণের কথা ভাবছেন পরিকল্পনাকারীরা৷

রাজধানী বেইজিং ও তিয়ানজিন শহরের মধ্যে নতুন রেল লাইন নির্মানে খরচ হয়েছে ২৯৩ কোটি ডলার৷ চীনা রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওয়াং ইয়োংপিং বলেছেন, চীনে দ্রুত গতির ট্রেন সার্ভিস চালুর ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ একটি বিপ্লব এনে দিয়েছে৷ আমরা ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এ স্টেশনটি নির্মাণ করেছি৷ তবে অলিম্পিক উপলক্ষে নতুন ট্রেন সার্ভিসের টিকেটের দাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি৷ টিকিটের দাম সবার নাগালের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন ওয়াং ইয়োংপিং৷

এদিকে নতুন ট্রেন সার্ভিস ছাড়াও বেইজিংয়ের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য রাস্তায় গাড়ী চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে চীন সরকার৷ দেশটির সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ের ৩৩ লাখ গাড়ীর ৬০ শতাংশ অলিম্পিক চলাকালে রাস্তা থেকে তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার৷ এর মাধ্যমে পরিবেশ দুষণ দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা হবে৷

ইতিমধ্যে অনেক গাড়ী বেইজিংয়ের রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷ বিশেষ করে অফিসিয়াল কাজে যেসব গাড়ী ব্যবহার করা হতো সেগুলো চলার ওপর ব্যাপক কড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ ফলে অফিসটাইমে বেইজিংয়ে ব্যস্ততা থাকলেও রাস্তায় ভীড় দেখা যাচ্ছে তুলনামূলক কম৷