টিপিপি-তে যোগ দেবে চীন?
২৪ জানুয়ারি ২০১৭মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে টিপিপি বাণিজ্য চুক্তি থেকে বার করে নেবার পর অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী স্টিভ চিওবো এবং নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রী টড ম্যাকক্লে, উভয়েই বলেছেন যে, তারা অবশিষ্ট ১১টি দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ের পর টিপিপি চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ক্যানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম৷
অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানি পরিষদ ও ওয়াইন প্রস্তুতকারকদের সমিতি চিওবোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়৷ চিওবো বলেন, টিপিপি চুক্তির ভবিষ্যৎ চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অপরাপর এশীয় দেশের সঙ্গে হতে পারে৷ টিপিপি-র ‘‘আদত নকশায় অন্যান্য দেশের যোগ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল'', অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন চিওবো৷ ‘‘আমি নিশ্চিত করে জানি যে, ইন্দোনেশিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আমরা যদি চুক্তিটির পুনর্বিন্যাস করি, তাহলে চীনের পক্ষেও সুযোগ থাকতে
পারে৷''
টিপিপি-র বিকল্প?
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন যে ‘‘চীনের পক্ষে টিপিপি-তে যোগ দেবার সম্ভাবনা আছে৷'' নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ মন্তব্য করেন যে, নিজেকে মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক হিসেবে পেশ করার এই সুযোগ বেইজিং-এর নজর এড়ায়নি৷ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে চীনকে টিপিপি থেকে বাদ দিয়েছিল৷ ইংলিশ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে প্রভাবশালী হওয়ার সুযোগ চীনের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পর বিকল্প বাণিজ্যিক চু্ক্তির পথ খুলে যেতে পারে৷ যেমন টিপিপি আর এগোতে না পারলে, আরসিইপি – রিজিওনাল কমপ্রেহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ বা আঞ্চলিক সর্বাঙ্গীণ অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা আবার জোরদার হতে পারে৷ অতলান্তিকের অপরপারে মেক্সিকো এবং চিলি টিপিপি-র বাকি দেশগুলির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে৷
জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল মঙ্গলবার হান্ডেলসব্লাট পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ‘‘ট্রাম্প যদি এশিয়া ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন,তাহলে আমাদের (অর্থাৎ জার্মানির) জন্য নানা সুযোগ খুলে যাবে৷'' ইউরোপীয় সংসদের বাণিজ্য পরিষদের সভাপতি ব্যার্ন্ড লাঙে বার্লিনের আরবিবি টেলিভিশনকে বলেছেন যে, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীন ও অপরাপর দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজতে হবে৷ ‘‘আমাদের নিশ্চয় করে চীনের সঙ্গে কথা বলা উচিত, কেননা চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যস্থান পূরণ করতে চাইছে'', বলেন লাঙে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)