‘চুক্তি ভঙ্গ করেনি জার্মানি’
৩০ মার্চ ২০১৮প্রায় দুই দশক আগে অনানুষ্ঠানিক আঞ্চলিক জোট পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য (ডব্লিউইওজি)-এর সদস্য হয়৷ তখন জোটের সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যে, জাতিসংঘের অস্থায়ী যে কোনো সদস্যপদের জন্য কখনো ইসরাইলের বিরোধিতা করবে না কেউ৷
জার্মানির বিরুদ্ধে ইসরায়েলপন্থি মার্কিন অধিবাসীদের অভিযোগ, তারা অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য লড়তে গিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করছে৷ কারণ, আগামী ৮ জুন সাধারণ অধিবেশনে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে এ অঞ্চলের দু'টি সদস্যপদের জন্য লড়ছে জার্মানি, ইসরায়েল ও বেলজিয়াম৷
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ সদস্যপদের জন্য তদবির করতে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন৷ বুধবার সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অতীতেও দেখা গেছে, একই পদের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রতিযোগিতা করছে৷’’ তিনি বিষয়টি আরো পরিষ্কার করে বলেন, ‘‘আমরা কারো বিরুদ্ধে তো লড়ছি না৷ আমরা নিরাপত্তা পরিষদের একটি আসনের জন্য লড়ছি৷’’
নিরাপত্তা পরিষদের দশটি অস্থায়ী সদস্যপদের মধ্যে তিনটি আফ্রিকা, দু'টি করে দক্ষিণ অ্যামেরিকা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পশ্চিম ইউরোপ অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ৷ পূর্ব ইউরোপ থেকে একটি দেশ নির্বাচিত হয়৷ রাষ্ট্রগুলো দুই বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত হয়৷মাস বলেন, জার্মানি আট বছর পরপর সদস্যপদের জন্য চেষ্টা করে৷ ‘‘তাই একে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখা উচিত৷’’
নির্বাচিত হলে, এই নিয়ে ষষ্ঠবার এই দায়িত্ব পালন করবে জার্মানি৷ নিউইয়র্ক পোস্টের এক উপসম্পদকীয়তে সম্প্রতি জার্মানিকে ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ ক্ষমতার খেলা’ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷
বার্লিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেলও যোগ দিয়েছেন এই কাঁদা ছোঁড়াছুড়িতে৷ সম্প্রতি টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউরোপ যেন কথার বরখেলাপ না করে৷’’
কাউন্সিলের পদ পেতে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হয়৷ এর আগে ২০১১-১২ মেয়াদে সবশেষ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছিল জার্মানি৷ পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য হলো, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যে, জাতিসংঘে সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তা প্রদানকারীদের অন্যতম রাষ্ট্র৷ জার্মানি জাতিসংঘের হয়ে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা এমন একটি সময়ে বাস করছি, যখন জাতিসংঘকে আগের চেয়ে আরো বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে৷’’
জেডএ/এসিবি (এএফপি)