ছবিতে ঢাকার ঈদ উদযাপন

বাবার সাথে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছে ছয় বছরের মাইশা করিম৷ রোযার ঈদের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান জামাত হয়নি৷ নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের গন্তব্য ছিল তাই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে৷

ঈদের জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের জন্য মসজিদের প্রবেশপথে ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে বুথের ব্যবস্থা৷

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ছয়টি প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল সাতটায় শুরু হয় প্রথম জামাত৷ মুসল্লিরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে অংশগ্রহণ করেন৷

ত্যাগের মহিমায় পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা৷ করোনার কারণে এই বছর ঈদের বাস্তবতাও অন্যবারের চেয়ে আলাদা৷ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ঈদের জামাতের মোনাজাতে একজন মুসল্লি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷

মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের প্রতি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান ছিল৷ কোলাকুলিতেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে৷ তবে অনেকেই তা মানেননি৷

কোরবানি দেয়ার আগে শান্তিনগরে একটি ছাগলকে পরিচ্ছন্ন করে নেয়া হচ্ছে৷

কোরবানি দেওয়ার জন্য পশুটিকে কোনভাবেই মাটিতে শোয়ানো যাচ্ছিল না৷ আনাড়ি হাতগুলোর সাথে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি শেষে অবশেষে পশুটিকে হার মানতেই হলো৷

বাড়ির নিচে কোরবানির কাজ তদারকি করছেন এম এ সালাম৷ ঈদের তিন দিন আগেই ৭৮ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছিলেন তিনি৷

জুলহাস খান ও তাঁর সহযোগী রফিক পেশাদার কসাই, তাদের দোকান রয়েছে ঢাকার রায়েরবাজারে৷ সকাল ১০টার মধ্যেই সাতটি পশু কাটাকাটি শেষ করে তারা রওনা দিয়েছেন আরও ৪ টি পশু প্রক্রিয়ার কাজে৷ এই দিনটাতে তাদের প্রচুর ব্যস্ততা থাকে৷

বাসার সামনের রাস্তায় পশু জবাই করা হয়েছে৷ বর্জ্য থেকে যেন দূর্গন্ধ না ছড়ায় তাই দ্রুত একজন পানি দিয়ে সেসব পরিষ্কার করে নিচ্ছেন৷

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মেয়র ২৪ ঘণ্টার মাঝেই সকল বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন৷ এরই অংশ হিসেবে প্রায় ৭০০ গাড়ি নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করতে দেখা গেল৷

শান্তিনগরের একটি আবাসিক ভবনে প্রায় ১০০ টি পরিবারের বাস৷ প্রতিবছর কমপক্ষে ৬০ টি পশু কোরবানি হলেও এবার হচ্ছে মাত্র নয়টি৷

বিজয়নগরে একটি পার্টি সেন্টারের মালিক ৩ টি গরু কোরবানির জন্য কিনেছেন কিন্তু সেগুলোকে আগামীকাল জবাই করা হবে৷ রিপন নামের একজন কর্মচারী তাই গরুগুলোকে দেখেশুনে রাখছেন৷

ফার্মগেটের তেজকুনিপাড়ার খেলাঘর মাঠটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত পশু জবাইয়ের স্থান৷ স্থানীয়দের মতে, এখানে শেষ পশু জবাই হয়েছিল ২-৩ বছর আগে৷ বিভিন্ন অসুবিধা ও অসচেতনার কারণে এখানে এখন আর কেউ কোরবানি দেয় না, মাঠটি ফাঁকাই পড়ে ছিল কোরবানির দিনে৷