জঙ্গলবুক নয়, বাস্তবের মোগলির সাথে পরিচিত হন
মানুষের সাথে প্রাণীদের বন্ধুত্ব-ভালোবাসার কাহিনি বিভিন্ন গল্পে শোনা যায়৷ এমনই এক গল্প তৈরি হয়েছে বাঁদর আর দু’বছরের ছোট্ট সমর্থকে ঘিরে৷ বাঁদরদের সাথে তার মেলামেশা দেখে একে আজকের মোগলি বললে ভুল বলা হবে না৷
বাঁদরের সঙ্গে বন্ধুত্ব
ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে ৪০০ কিলৌমিটার দূরের গ্রাম আলাপুর৷ সেখানকার ছোট্ট শিশু সমর্থ আজকাল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে৷ এর কারণ মূলত সমর্থের বাঁদর বন্ধুরা৷ এরা সবাই প্রতিদিন ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে আসে৷ যদি সে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে ঘুম ভাঙিয়ে তার সাথে খেলা শুরু করে এই প্রাণীরা৷
গভীর বন্ধুত্ব
সমর্থের বয়স মাত্র দু’বছর এবং সে এখনও ঠিকমত কথা বলা শেখেনি৷ কিন্তু বাঁদরদের সঙ্গে বন্ধুত্বে ক্ষেত্রে সেটা তো কোনো সমস্যাই নয়৷ অনেকেই বাঁদরদের সাথে তাকে দেখে কিছুটা আতঙ্কিত হতেন৷ কিন্তু এই শিশুর চেহারায় কখনো কোন আতঙ্ক বা ভয়ের ছাপ ছিল না৷
সহজ সম্পর্ক
শিশুটির চাচা বরামা রেড্ডি বলেন, ‘‘প্রথম প্রথম গ্রামবাসীদের মতো আমাদেরও ভয় লাগতো৷ আমাদের চিন্তা হতো, যদি সমর্থের বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে বাঁদররা শিশুটির কোনো ক্ষতি করে! কিন্তু অল্পদিনেই আমরা বুঝলাম বাঁদরদের সঙ্গে সমর্থের সম্পর্ক খুব সহজ-সরল৷
মানুষের আগ্রহ
শিশুটির সঙ্গে বাঁদরদের এই বন্ধুত্ব আশেপাশের মানুষদের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কীভাবে বাঁদরদের দলের সঙ্গে সমর্থ মেলামেশা করে তা দেখতে আসেন অনেকেই৷
একসাথে খাওয়া-দাওয়া
মাত্র দু’বছরের এই শিশুটি নিজের খাবার বাঁদরদের সঙ্গে ভাগ করে খায়৷ পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিন এই বাঁদররা একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়৷ সেসময় সমর্থ যদি ঘুমিয়ে থাকে, ওর ঘুম ভাঙায় বাঁদররা৷
বাঁদরের রাগ
প্রথমে পরিবারের সদস্যরা ভাবতেন এই বাঁদররা শিশুদের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে৷ কিন্তু যখন তারা অন্য কোনো শিশুকে বাঁদরদের কাছে নিয়ে গেলেন, বাঁদরদের দলের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ পেল৷
বিশেষ সম্পর্ক
এখন সবাই এটা মেনে নিয়েছেন যে সমর্থের সাথে এই বাঁদরদের বিশেষ একটা সম্পর্ক আছে৷ যদিও শিশুটি এখনো কথা বলতে পারে না৷ কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মনে হয় বাঁদরদের সঙ্গে সে ভাব বিনিময় করে৷
মোগলির কথা মনে পড়ে
সমর্থের এই আচরণ সবাইকে ‘দ্য জঙ্গল বুক’ এর মোগলির কথা মনে করিয়ে দেয়৷ এই গল্পের মুখ্য চরিত্র মোগলি জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে জীবনযাপন করতো৷