জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাটি কোন দেশের একক সমস্যা নয়- হাসিনা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯সম্মেলনের উদ্বোধন করে জাতিসংঘ মহাসচিব বললেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এখনি সময় পদক্ষেপ নেয়ার৷ কোপেনহেগেনের সম্মেলনের আগে এই সম্মেলনটিকে দেখা হচ্ছে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে পাশাপাশি মঙ্গলবার জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে ক্ষতির তালিকায় থাকা দেশগুলোর নেতাদের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আয়োজিত এক ভোজসভায় যোগ দেন৷ এখানে তিনি কথা বলেন বিভিন্ন সরকার প্রধানের সঙ্গে৷
শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মন্ত্রী পরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ, সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু, কলামিষ্ট ড. মুস্তফা নুরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ৷
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝক্কি সামাল দিতে তাঁর সরকার এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মহল কাজ করে যাচ্ছে৷ কিন্তু নিজেদের সম্পদ এবং প্রযুক্তিবিদ্যার অভাবের কারণে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ তাই তিনি বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন এই বলে যে জলবায়ু সমস্যাটাকে কারও একার নয়, যেন বিশ্বের সকলের সমস্যা হিসাবে দেখা হয় এবং সবার উপকারের জন্য যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷
আজ অথ্যাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের ৬৪ তম সাধারণ অধিবেশন৷ আজ বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা৷ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ঐ ভাষণে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাবস্থা. বিশ্বের শান্তি এবং প্রগতি সম্পর্কে কথা বলবেন৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দিন বদলের সরকারের বিষয়টি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করবেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামি ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন যাবেন এবং সেখান থেকে দোহার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন৷ তিনি ১ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন-সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়