জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে বন্যা-সহিষ্ণু ধান
২৫ নভেম্বর ২০০৯রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) কর্মকর্তারা বুধবার জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতেই এসব ধান চাষাবাদের জন্য বাণিজ্যিকভাবে বিপণন শুরু করা যাবে৷
গবেষকরা বলছেন, এসব ধান টানা ১৫ দিন পানির তলায় ডুবে থাকলেও মরে যাবে না৷ অর্থাৎ বন্যা উপদ্রুত বাংলাদেশে প্রতি বছরের অনেক বন্যাতেই টিকে থাকতে পারবে এই প্রজাতির ধান৷
বিআরআরআই এর প্রধান ফিরোজ শাহ সিকদার এএফপিকে বলেছেন,‘‘নিয়মিতভাবে ফসল হারানো দেশের কৃষকদের জন্য এটা বিরাট সুখবর৷''
তিনি জানান, ‘বিআর-১১ সাব ১', ‘স্বর্ণা সাব ১' এবং ‘আইআর-৬৪' নামের এই তিন প্রজাতির ধান ম্যানিলা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) তত্ত্বাবধানে উদ্ভাবিত হয়েছে এবং এগুলো পানির তলায় ১৭ দিনও টিকে থেকেছে৷
সাধারণ প্রজাতির ধানগুলো বন্যার পানির নীচে ৩ দিনও টিকে থাকতে না পারার কারণে প্রতিবছর ব্যাপক ফসলহানির শিকার হয় চাষিরা৷
সিকদার জানান, ‘‘২০০৫ সাল থেকেই আমরা মাঠে এর পরীক্ষা চালিয়েছি এবং এতে দারুণ ফলাফল পেয়েছি৷ আমাদের গবেষণা শেষ হয়েছে৷ এখন জাতীয় বীজ কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের জানুয়ারিতে এসব ধান আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ শুরু করবে৷''
এ সপ্তাহেই আইআরআই এর প্রধান রবার্ট জিগলার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা-সহিষ্ণু প্রজাতিগুলোর পরীক্ষা খামার পরিদর্শন করেছেন৷ সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, তিনি মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফলকে ‘অসাধারণ সাফল্য' বলে অভিহিত করেছেন৷
প্রতিবেদন: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক