জলবায়ু সম্মেলনের জন্য বন শহর প্রস্তুত
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছে জার্মানির বন শহর৷ অনুষ্ঠানের জন্য শহর জুড়ে নতুন নতুন অবকাঠামো গড়ে উঠেছে৷ ডয়েচে ভেলের নজরে পড়েছে প্রস্তুতির এমনই কিছু চিত্র:
প্রস্তুত হচ্ছে বন
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে বন শহরে শুরু হবে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ২৩’৷ চলবে ১৭ মে পর্যন্ত৷ এ আয়োজন উপলক্ষে গত কয়েক মাসে নতুন একটি ট্রেন স্টেশন থেকে শুরু করে বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করে জার্মানির সাবেক রাজধানীকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে৷ সবচেয়ে বড় অস্থায়ী কমপ্লেক্সটি তৈরি হয়ছে ডয়চে ভেলের পেছনে৷ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল আগস্টের প্রথম দিকে৷
বুলা থেকে কপ২৩
ওয়েলকাম! ভিলকমেন! বুলা! কেন এই তিনটি শব্দ? ইংরেজি, কারণ বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা৷ এটি থাকতেই হবে৷ সম্মেলনটি জার্মানিতে হচ্ছে, কাজেই ‘উইলকমেন’৷ কিন্তু ‘বুলা’ কেন? বন শহরে আয়োজিত হলেও ‘কপ২৩’ এর অফিসিয়াল আয়োজক কিন্তু ফিজি৷ ফিজি দ্বীপের স্থানীয় ভাষায় ‘বুলা’ মানে ‘স্বাগত’ বা ‘বন্ধুত্ব’৷
একই ছাতার নীচে গোটা বিশ্ব
বনের বিখ্যাত রাইন নদীর পাশেই বিশাল এক হলে যোগ দেবেন সারা বিশ্বের মানুষ৷ প্রায় ৪০টি ভিন্ন ধরনের প্যাভিলিয়নে, অংশগ্রহণকারী ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিরা জলবায়ু সুরক্ষায় তাদের দেশের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ অর্থাৎ সারা বিশ্ব একই ছাদের নীচে৷
জার্মানির টেকসই প্যাভিলিয়ন
অন্যান্য আরও অনেক কিছুর মধ্যে জার্মান প্যাভিলিয়নটি ৩ মিটার (১০ ফুট) এর এলইডি দিয়ে আলোকিত ও সাজানো হবে৷ এছাড়া জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বিএমজেড) এবং জার্মানির পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বিএমইউবি) এর একটি ভার্চুয়াল প্রদর্শনী ও অ্যাম্ফিথিয়েটার থাকছে৷
স্পটলাইটে ভারত
বড় জায়গা জুড়ে আরেকটি দেশ প্যাভিলিয়ন করছে, দেশটি হলো ভারত৷ ৬ নভেম্বরের আগে একে প্রস্তুত করতে ডজন ডজন শ্রমিক দিন রাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে৷ এই সময়ের মধ্যে কাঠামো থেকে আলোকসজ্জা– সব কিছুই তৈরি করে ফেলতে হবে তাদের৷
চলুন কাজ পেতে এবার একটি বিরতি নিই
এই সম্মেলনে যোগদান করা মানে শুধু নেটওয়ার্কিং বা জায়গাটির আকর্ষণ খুঁজে বের বেড়ানো নয়৷ অনেক মানুষকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে৷ ৬ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের ব্যস্ততাও খুব বেড়ে যাবে৷
চিন্তা করবেন না, কফি কিন্তু আছে!
ভালো কথা: কোস্টা রিকায় উৎপন্ন প্রচুর কফিও পাওয়া যাবে সম্মেলনের সময়৷ একটু ঝিমুনি বা তেষ্টা পেলেই অসংখ্য পয়েন্ট থেকে কফি পানের সুযোগ থাকছে৷ .
মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা
সবচেয়ে বড় টেন্টের দুই তলাতেই ক্যান্টিন থাকছে, যেখানে একইসাথে প্রায় ১৫শ’ মানুষ খেতে পারবেন৷ বেশিরভাগ খাবারই হবে অর্গানিক, এর পাশাপাশি স্থানীয় এবং ঋতুকালীন নানা পদও থাকবে৷ তবে নিরামিষ জাতীয় খাবারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ স্বাদ নিতে চান? প্রতিটি মেন্যুতে খরচ পড়বে ১০-১২ ইউরো ( ১১.৫০- ১৪ ডলার)৷
মূল অংশগ্রহণকারী এনজিও
এই সম্মেলনে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের পাশাপাশি বহু বেসরকারি সংগঠন (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷ তারা নাগরিক সমাজের হয়ে কথা বলবে এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করবে৷ এনজিও’র জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ থাকবে৷ প্রায় ৫শ’ এনজিও সেখানে তাদের নানা কাজের প্রদর্শনী করতে পারবে৷
বন প্রস্তুত!
সম্মেলন শুরুর এক সপ্তাহ আগে এই ছবিটি তোলা৷ ছবিঘরের প্রথম ছবিটির সঙ্গে এর পার্থক্য কি স্পট? অবকাঠামো তৈরি শেষ হয়েছে, অতিথিদের স্বাগত জানাতে বন শহর একদম প্রস্তুত৷ বন তো প্রস্তুত, আপনার কী অবস্থা?