1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ

১৬ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানির বন শহরে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন৷ দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনটি শেষ হবে শুক্রবার৷ তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/2nknq
COP23 in Bonn - PK Bangladesch
ছবি: DW

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন৷

ড. হাছান মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সম্মেলনে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন৷ ‘‘প্রতিটি সম্মেলনে আমরা অনেক আশা নিয়ে আসি৷ কিন্তু যখন আমরা ফিরে যাই তখন বেশিরভাগ সময় আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনা'', বলেন তিনি৷ সাবেক এই পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সকাল পর্যন্ত লস অ্যান্ড ড্যামেজ বিষয়ে বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য কানকুনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' বিষয়টির আবির্ভাব হয়েছিল৷ প্যারিস চুক্তিতেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ কিন্তু বন সম্মেলনে এসে বিষয়টি প্রায় হারিয়ে গেছে৷''

এছাড়া ড. মাহমুদ বলেন, প্রতিটি সম্মেলনে বাংলাদেশ অনেক অর্থ সাহায্যের অঙ্গীকার পেয়ে থাকে৷ কিন্তু সেই তুলনায় যা পাওয়া যায় তা খুবই নগণ্য৷ এর বাইরেও হতাশ হওয়ার মতো আরও অনেক বিষয় আছে বলে জানান তিনি৷ অবশ্য সম্মেলনের আরও কিছু সময় বাকি থাকায় এই সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অগ্রগতির আশা করছেন তিনি৷ ‘‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি সম্মেলনের শেষ দুই দিনে অনেক বিষয়ে বলার মতো অগ্রগতি হয়৷ আমি আশা করব এবারও সেটি হবে৷ ফলে আর আমাদের হতাশা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে না৷''

পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, জলবায়ুপরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা ‘উচ্চাকাঙ্খী' বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার ঘোষণার পর ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ এই চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে যে সমর্থন জানিয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন পরিবেশমন্ত্রী৷

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিদেশি অর্থ সহায়তা প্রাপ্তির অপেক্ষা না করে বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে কাজ করছে বলে জানান তিনি৷

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ গত দুই দশকে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করেছে৷

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, সাগরের পানি বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা৷ ‘‘আমরা অনেক সময় বলি, এটি একটি স্লো-অনসেট ইভেন্ট৷ এর ফলে সবার মনে একটি ধারণা জন্মায় যে, তাহলে হয়ত এ ব্যাপারে পরে ব্যবস্থা নিলেও হবে৷ কিন্তু এটি ভুল ধারণা৷ এটি খুবই জরুরি বিষয়৷ উপকূলীয় এলাকাগুলি বাংলাদেশের সবচেয়ে অরক্ষিত এলাকা৷'' তিনি বলেন, সাগরের পানির উচ্চতা ২০ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ‘‘লবণাক্ততা একটি বড় সমস্যা, নিরাপদ পানির অভাব দেখা দিচ্ছে৷ ফলে মানুষজন সেখান থেকে সরে যাচ্ছে'', বলেন ড. নিশাত৷

জেডএইচ/ডিজি

প্রতিবেদনটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান