জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে শুক্রবার
১৭ ডিসেম্বর ২০০৯এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বড় দেশ চীন সম্মেলনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷
১৫ তম জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার৷ বৃহস্পতিবার সম্মেলনের পরিবেশ দেখলে সহজেই অনুমান করা যায় বিশ্বের ১৩০ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এখন এই কোপেনহেগেনের বেলা সেন্টারে৷ নিরাপত্তা আর ঘন্টায় ঘন্টায় সংবাদ সম্মেলন অনুমান করতে সহায়তা করে যে , আলোচনা চলছে আর কিছু একটা হতে যাচ্ছে৷ আশার আলো আরো বেশি স্পষ্ট হতে থাকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন সংবাদ সম্মেলনে বলেন তাঁর দেশ চায় একটা নতুন কোন চুক্তি হোক৷ তাঁরা প্রস্তুত পৃথিবীকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে৷ তিনি সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন৷
হিলারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমাবে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ৷ তিনি বলেন, আমরা আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব তাই করবো৷ আমারাও অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছি৷ আমরা মনে করি কাল রাষ্ট্রপ্রধানরা মিলে একটি সমঝোতায় পৌছাতে পারবেন৷ যেখানে একটি গঠনমূলক পরিকল্পনা থাকবে বিশ্বকে বাচানোর জন্য৷
হিলারি ক্লিন্টন অবশ্য পরিষ্কার করে জানান নি যে যুক্তরাষ্ট্র এই একশ বিলিয়ন ডলারের কত অংশ দেবে বা দেবার কথা ভাবছে৷
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন তার বক্তব্যে বলেন, ব্রিটেন ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন বিশ্ব অবশ্যই তাদের সঙ্গে থাকবে৷
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশকেই তার স্বার্থ থেকে দুরে থেকে কাজ করার জন্য চাপ দিতে চায়না৷ তবে সকলেরই এটা করা উচিত যা সকলের স্বার্থই দেখে৷ উন্নত দেশের জন্য এখনই জলবায়ু পরিবর্তন খুব বেশি প্রভাব না ফেললেও একটা সময় আসবে যখন তারা কঠিন ভুক্তভোগী হবে৷ তিনি বলছেন, তাই এটা বলা ঠিক হবে না যে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ করছি৷ বরঞ্চ আমরা এটা বলতে পারি যে যা করা উচিত তাই আমরা করছি৷ আর তাই আমাদের করতে হবে৷
ব্রাউন বলেন যা একা করা সম্ভব নয় তা আমরা সকলে মিলে করবো৷ কোপেনহেগেনের এই দিনগুলো আমাদের জন্য খুবই জরূরি৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন আমারা কোন ভাবেই সংকীর্ণ রাজনীতিকে আমাদের বিশ্ব রক্ষার এই যুদ্ধে সামিল করতে পারি না৷
এদিকে চীনের একজন প্রতিনিধি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের মাত্রা নির্ধারণের জন্য যে চাপ আসছে সে বিষয়ে চীন একমত নয়৷ চীন মনে করে কোপেনহেগেন আলোচনা ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে৷ তাই সম্মেলন থেকে শেষ মুহূর্তে চীন বের হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দিতে রাজি নয় বিশেষজ্ঞ মহাল৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী, কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন থেকে
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার