1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু সুরক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে ব্রাজিল, সবার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

১৫ ডিসেম্বর ২০০৯

বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন নির্গমনকারী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে৷ অন্যদিকে ইতিবাচক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে জলবায়ু সুরক্ষায় এগিয়ে ব্রাজিল৷

https://p.dw.com/p/L3HW
পরিবেশ বাঁচাতে নানা প্রচারণা (ফাইল ফটো)ছবি: dpa

জার্মানির থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘জার্মানওয়াচ' এবং পরিবেশাদী আন্দোলনগুলোর মোর্চা ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক' (ক্যান) যৌথভাবে সোমবার এই বার্ষিক পরিবেশ সুরক্ষা সূচক প্রকাশ করে৷

কোপেনহেগেনে জাতিসংঘ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের এক পার্শ্ব আয়োজনে ৫৭টি শিল্পোন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে এই পরিবেশ সুরক্ষা সূচক প্রকাশ করা হয়৷

শীর্ষ দশ

জার্মানি আগে এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকলেও এবার দু'ধাপ পিছিয়ে দেশটির অবস্থান গেছে সপ্তমে৷ শিল্পোন্নত ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে সুইডেন পঞ্চম, ব্রিটেন ষষ্ঠ, ফ্রান্স অষ্টম এবং নরওয়ে দশম স্থান পেয়েছে৷ তবে, ইউরোপের পোল্যান্ড, সাইপ্রাস, গ্রিস এবং লুক্সেমবুর্গ খুবই বাজে ফলাফল করেছে এই পরিবেশ সুরক্ষা সূচকে৷

লক্ষ্যনীয়ভাবে শীর্ষদশে চলে এসে জলবায়ু সুরক্ষায় নবম স্থানটি দখল করে নিয়েছে দ্রুত উন্নয়নশীল ভারত৷

জার্মানওয়াচ এর ইয়ান বার্ক জানান, ‘‘কোনো দেশই বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং যথাযথ করণীয় দায়িত্ব পালনে উদ্যাগী না হওয়ায় এবারও এই সূচকের প্রথম তিনটি স্থান শূন্য রয়ে গেছে৷''

ব্রাজিল, চীন, যুক্তরাষ্ট্র

সব মিলিয়ে ৬৮ দশমিক শূন্য পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে অর্থাৎ সবার আগে চলে আসে ব্রাজিল৷

অন্যদিকে, ৪৬ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে চীন ৫২তম এবং ৪৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৫৩তম অবস্থানে৷

২০০৮ সালে ব্রাজিল তার বনউজাড়ের হার ৫০ ভাগে নামিয়ে আনার মাধ্যমে এই গৌরব অর্জন করে৷ তবে, এই জরিপের একজন সহগবেষক বলেছেন, এটা স্পষ্ট নয় যে, ব্রাজিলে বনউজাড়ের হার হ্রাস কি কেবল সরকারি উদ্যোগের কারণেই হয়েছে না কি অর্থনৈতিক মন্দায় বিশ্ববাজারে দেশটির সয়াবিন এবং পাম অয়েলের চাহিদা কমে যাওয়ায় হয়েছে৷

ইয়ান বার্ক ব্যাখ্যা করেন যে, সাফল্যের তুলনামূলক বিচারে দেশগুলোকে একে অন্যের বিপরীতে পয়েন্ট দেওয়ার পাশাপাশি ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিপজ্জনক হার থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য মৌলিক জলবায় সুরক্ষামূলক পদক্ষেপও বিবেচনা করা হয়েছে এই সূচকে৷

চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এতো বাজে অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দেশ দুটি প্রত্যেকে একাই বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পাঁচ ভাগের জন্য দায়ী৷ কিন্তু এরপরও এইসব দেশের নেতারা কোনো উল্লেখযোগ্য নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত ঘোষণা করেননি৷

প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক