জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ৬০ বছর পূর্তি
১৪ ডিসেম্বর ২০১০জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ইউএনএইচসিআর প্রথমে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল একটি ক্ষুদ্র সংগঠন হিসেবে৷ লক্ষ্য ছিল, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সীমিত সংখ্যক শরাণার্থীদের সাহায্য করা৷ কিন্তু পরে এটি একটি বিরাট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়৷ সংস্থাটি গত ৬০ বছরে ১২০টি দেশের পাঁচ কোটিরও বেশি শরণার্থীকে সাহায্য দিয়েছে৷ তবে ইউএনএইচসিআর বর্তমানে শুধুমাত্র শরণার্থী বিষয়ক একটি সংস্থা নয়৷ এটি বর্তমানে প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রহীন শরাণার্থীদের সাহায্য দিচ্ছে৷ তবে ভবিষ্যতে সংস্থাটি সাহায্য দেবে তথাকথিত পরিবেশ বা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যারা শরণার্থীতে পরিণত হচ্ছে তাদেরকেও৷
ইউএনএইচসিআর ১৯৫৬ সালে প্রথমবারের মত এক জরুরি সমস্যার মুখোমুখী হয়৷ সোভিয়েত বাহিনী সে সময় হাঙ্গেরির বিপ্লব দমন করে বর্বরোচিতভাবে৷ ফলে সে দেশের এক লাখ আশি হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় আশ্রয়ের আশায়৷ শরণার্থী শিবির স্থাপন, খাদ্য ও ওষুধপত্র সরবরাহ করে ইউএনএইচসিআর এটি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে৷ এছাড়া সংস্থাটি রুয়ান্ডার গণহত্যা সহ আফ্রিকার বিভিন্ন শরণার্থী সমস্যা, এশিয়ায় ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের শরণার্থী সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে৷
৬০ বছর আগে ইউএনএইচসিআর এর কর্মী সংখ্যা ছিল মাত্র তিরিশ জন৷ বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজারে৷ প্রতিষ্ঠাকালে এর বাজেট ছিল মাত্র তিন লাখ ডলার আর বর্তমানে এর পরিমাণ হল তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি৷
প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক