1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জাদু খামার’

মানুয়েলা কাসপার-ক্ল্যারিজ/এসি২৮ নভেম্বর ২০১৪

ফিলিপাইন্সেও ‘অরগ্যানিক’-এর হাওয়া৷ রাজধানী ম্যানিলা-র কাছে একটি অরগ্যানিক খামারে ম্যানিলা থেকে আসা দিনমজুররা কৃষিকাজ শিখছেন৷ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো, গ্রামীণ জীবনকে আকর্ষণীয় করে তোলা৷

https://p.dw.com/p/1DudC
Symbolbild Biotechnologie Landwirtschaft Labor
ছবি: AFP/Getty Images

খামারে এবার আম ভালোই হয়েছে৷ চেরি আতিলানো খুব খুশি৷ ২৭ বছর বয়সি আতিলানো কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি এই কৃষি খামারের ম্যানেজার৷ ফলমূল ছাড়া এখানে সবজিরও চাষ হয়, যেমন লাউ-কুমড়ো৷ সব কিছুই গজায় রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ছাড়া৷ আতিলানোর ভাষ্যে, ‘‘এটা একটা অরগ্যানিক খামার৷ আমাদের চাষিরা অরগ্যানিক পন্থায় চাষ করেন৷ সবজিগুলোকে ঢেকে রাখা হয়, যাতে পোকা না ধরে – কিন্তু কোনো রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না৷ সেটা স্বাস্থ্যকর হতো না৷ ভেবে দেখুন: মানুষজন এই গরমে মাঠে কাজ করছে – তার ওপর আবার কীটনাশক৷ তাতে ওদের অনেক ক্ষতি হতো৷''

দিনমজুর থেকে চাষি

যে সব মানুষ এই খামারে কাজ করেন এবং থাকেন, তারা এসেছেন ম্যানিলার কাছের একটি বস্তি থেকে৷ সেখানে তারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন৷ এই খামার এখন তাদের ঘরবাড়ি৷ প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব বাড়ি আছে, এবং সেই বাড়িতে কলের জল ও বিদ্যুৎ আছে – যা কিনা অধিকাংশের পক্ষেই এককালে অকল্পনীয় ছিল৷ এবং সকলেই আজ খামারের সম্প্রসারণে ব্যস্ত৷

পাশেই একটা ব্যাংক গড়ে উঠছে৷ এই ব্যাংক থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মাইক্রো-ক্রেডিট দেওয়া হবে৷ একটি বিশাল শিল্প সংস্থা এই প্রকল্পের অর্থসংস্থান করছে৷ এ ক্ষেত্রেও চেরি আতিলানো সকলের সব প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য রয়েছেন৷

সুখ মানেই শান্তি

আন্তোনিও মেলোতো-র মাথায় প্রথম এই প্রকল্পের ধারণাটি আসে৷ তিনি তাঁর সামাজিক উদ্যোগের জন্য একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ চেরি আতিলানোর জন্য আন্তোনিও প্রেরণা এবং উদ্যম, দুই-ই৷ পড়াশুনা শেষ করার পর আতিলানো আন্তোনিও-র সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন৷ ‘এনচ্যান্টেড ফার্ম'-এর প্রতিষ্ঠাতা মেলোতো বলেন, ‘‘আমরা যখন কলের জল আর শৌচাগার সহ গ্রামাঞ্চলে আরো বাড়ি তৈরি করবো, তখন দেশে শান্তি ফিরে আসবে৷ পরিষ্কার আলো-বাতাস, ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, চাকরি-বাকরি, ছোটদের জন্য ইস্কুল৷ তখন বিদ্রোহী আর অপরাধীদের সংখ্যা কমবে৷''

সুপ্ত প্রতিভা

চেরি আতিলানোর কাছে সমাজসেবা একটা স্বাভাবিক চেতনা এবং এ ক্ষেত্রে তিনি একা নন৷ সারা দুনিয়া থেকে তরুণরা আসেন এই খামারে, এখানে কিছুদিন কাজ করতে৷ খামারের আরেকটি অঙ্গ হল একটি বিপণী, যেখানে খামারে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করা হয়৷ আতিলানো বলেন, ‘‘বলতে কি, দরিদ্রদের মধ্যে যে প্রতিভা সুপ্ত আছে, তাকে মেলানো হচ্ছে অন্যান্যদের অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে৷ দরিদ্রদের নানা আইডিয়া ও ক্ষমতা আছে, কিন্তু একটি প্রকল্প সফলভাবে কার্যকরী করার মতো আর্থিক সামর্থ্য কিংবা জ্ঞান তাদের নেই৷ তারা কোনো ব্যবসার প্রণালী কিংবা সাপ্লাই চেন চেনে-জানে না৷''

কিন্তু শুধু সে ভাবেই গ্রামের মানুষদের জীবন আরো সুন্দর করে তোলা সম্ভব: গ্রামের মানুষ যখন কৃষিকাজ থেকে ভালোভাবে দিনযাপন করতে পারবেন আর শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য